সারাদেশের ন্যায় কমেছে চট্টগ্রামের তাপমাত্রা। প্রায় ৪০ ডিগ্রিতে চড়ে বসা তাপমাত্রা নেমেছে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ধীরে ধীরে বাড়ছে বৃষ্টির অনুপাত। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীসহ চট্টগ্রামের বেশ কিছু এলাকায় মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় আশাহত সাধারণ মানুষ। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চট্টগ্রামে এখনো কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দু-তিন দিন বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস গতকাল সন্ধ্যা ৬টার স্থানীয় পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে সাময়িকভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সে সাথে দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কি.মি. বেগে, যা অস্থায়ীভাবে দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৪৫-৫৫ কি.মি. বেগে বয়ে যেতে পারে। গতকাল চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া ও ভূ-প্রাকৃতিক কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সৈয়দ আবুল হাসানাৎ দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘বর্তমানে তাপমাত্রা কমছে। এই সপ্তাহেও কালবৈশাখীর প্রভাব থাকবে।’ বৃষ্টি হবে হবে করে, না হওয়ার বিষয়টি প্রকৃতির বিরূপতা নয় দাবি করে তিনি বলেন, ‘বছরের এই সময়ে বৃষ্টি হয়। স্বাভাবিকভাবে বৃষ্টি কম বেশি হতে পারে। আমরা আর একটু বেশি বৃষ্টি আশা করছিলাম। আরও ২-৩ দিন বৃষ্টির এখনো সম্ভাবনা রয়েছে।’