তপ্ত দুপুরে, গাছের ছায়ায়
উদাস কবি সে কোন অজানা মায়ায়,
রূপসী বাংলার রূপ দেখে মনে–
অবনত শিরে জানায় প্রণতি।
কবি এখানে চুপ করে থাকে,
কবিতারা হারায় মোহনার বাঁকে।
এখানে শুধু প্রকৃতির সাথে
কথা বলে প্রকৃতি।
আকাশ এখানে অরণ্যে মিশে,
মেঘেরা ছুটে যায় অজানার দেশে।
দক্ষিণা হাওয়ায়, এখানে অবেলায়
শিস দিয়ে যায় নিশুতি।
জলের খেয়ায়, এখানে জীবন ভাসে।
জেলের পাতানো জালে স্বপ্ন হাসে।
এখানে বাউলের গান, ভরে দেয় মন প্রাণ।
সে গান কান পেতে আনমনে শোনে প্রকৃতি।
এখানে নদীতে ঝাঁপ দেয় বালকের দল।
শিশিরমাখা ঘাস রোদে ঝলমল।
এখানে শিমুলের ডালে, বুলবুলি সুর তোলে–
নিরালায় কথা কয় কপোত–কপোতী।
রমণীর চিবুক ছুঁয়ে এখানে সন্ধ্যা নামে।
চাতকের জল আসে মেঘের খামে।
এখানে ঝিঁঝিঁ ডাকে, এখানে শেয়াল হাঁকে
এখানে আলোর মশাল জ্বালায় জোনাকি।
কবি আজ এখানে শব্দ হারায়।
আকাশের সামিয়ানা সাজে তারায় তারায়
কবিতার হাক–ডাক আজ থাক, পড়ে থাক।
প্রকৃতির কোলে কবি আজ, নিজেই অতিথি।