কবি আবু হেনা মোস্তফা কামাল ছিলেন অধ্যাপনা ও বাচিক শিল্পের বরপুত্র। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে তিনি এক বিরলপ্রজ বহুমাত্রিক প্রতিভার নাম। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কবি অধ্যাপক আবু হেনা মোস্তফা কামালের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ক্বণন শুদ্ধতম আবৃত্তি অঙ্গন আয়োজিত স্মরণ অনুষ্ঠানে আবৃত্তি ও সংগীত শিল্পীরা কথাগুলো বলেন। ক্বণন সভাপতি আবৃত্তি শিল্পী ও প্রশিক্ষক মোসতাক খন্দকারের পরিচালনায় স্মরণঅনুষ্ঠানে শিল্পীরা তাদের পরিবেশনার সময় বলেন, কবি আবু হেনা মোস্তফা কামাল যখন কথা বলতেন তখন কাউকে কথা বলতে হতো না, বলার প্রয়োজনও পড়ত না। সবাই তার বক্তব্য মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে কেবল শুনতেন। শিক্ষার্থীর কাছে শিক্ষক এত প্রিয় হতে পারেন তার উদাহরণ কেবলই তিনি। আবু হেনা মোস্তফা কামাল তাঁর অধ্যাপনা ও লেখক জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো চট্টগ্রামেই কাটিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আবু হেনার জন্য চট্টগ্রামে কিছুই হয়নি। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আলোচনা স্মরণানুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন ক্বণন সদস্য আবসার তানিম, প্রেমা চৌধুরী, শুভ্রা চক্রবর্তী, সুস্মিতা চৌধুরী, ইব্রাহিম মাহমুদ, রাকিবুল ইসলাম। এরপর আবু হেনা মোস্তফা কামাল রচিত সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী শুভ্রা চক্রবর্তী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।