কবি–কবিতা–আবৃত্তিকার–শ্রোতা– এই চারটি বিষয়ের সমন্বয়ে উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘কবি ও কাব্যকথার সমন্বয়ের পঞ্চদশ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল শুক্রবার। চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির মূল মিলনায়তনে এই সন্ধ্যায় আমন্ত্রিত কবি ছিলেন কবি শিহাব শাহরিয়ার, কবি জিন্নাহ চৌধুরী ও কবি শাশ্বত টিটো।
অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে কবি রিজোয়ান মাহমুদ বলেন, কবিতা মূলত বোধ আর অভিজ্ঞতার স্বরলিপি। কবিতা মানে নিজের আবেগ অনুভূতির সাথে সম্পর্কের সম্ভোগ। কবিতা নিছকই কোনো শব্দ ব্যবস্থাপনার আড়ম্বরতা নয়। কবিতাকে মনে হয় ধূলো উড়ানো পথ, মনে হয় ঘাস–ফড়িং, আলো–হাওয়া, নদীজীবন।
কবি জিন্নাহ চৌধুরী বলেন, যে ভাষা ও শব্দ মানুষের বোধকে আলোড়িত করে, যে সৃষ্টি পাঠককে নতুন চিন্তার কাছে নিয়ে যায়, তখনই সেটা কবিতা হয়ে ওঠে। চিত্রাত্মক ছন্দোময় রূপই কবিতার প্রাণ। কবি শাশ্বত টিটো বলেন, ভাবনারা আসে, পেয়ে বসে, আবার ছেড়েও যায়। রূপ বদলায় অনুভূতি, পূর্ণ হতে হতে ভেঙে পড়ে। এই ভাবনার ভিন্নতর প্রকাশই কবিতা। বৃহদাকার ভাবনাগুলোকে পরিমার্জিত রূপে প্রকাশ করার নামই কবিতা। উচ্চারক সভাপতি সাংবাদিক ফারুক তাহেরের সভাপতিত্বে এবং সহ–সভাপতি এ এস এম এরফানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, কবি কাজী সালাহউদ্দিন।
একক ও দ্বৈত আবৃত্তি এবং কথামালা দিয়ে সাজানো এই অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন অঞ্চল চৌধুরী, মিলি চৌধুরী, সজল চৌধুরী, মশরুর হোসেন, জাভেদ হোসেন, মৌসুমী চক্রবর্তী, বনকুসুম বড়ুয়া, শ্রাবণী দাশ, সেলিম ভুঁইয়া, শাহ হোসোইন, শামীমা ইয়াছমিন, এ্যানি চৌধুরী, ইকবাল হোসেন জুয়েল, উমেসিং মারমা, তন্বী বড়ুয়া, মাহফুজা হক স্নিগ্ধা, ঐশী পাল, দিপা দাশ, পুনম দত্ত, রোকসানা আফরিন, তারানা কবির মিতু, হামিদ উদ্দিন, ফাইরুজ নাওয়াল দুর্দানা, ইকরা বিনতে বিল্লাহ, ফারিহা ফেরদৌস, সুনেহরা ইসলাম, জারিন সুবাহ, অনিরুদ্ধ বিশ্বাস, ওয়াকেয়া তাবাসসুম প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।