কপিরাইট সনদ পেল গফুর হালীর ৩শ গান, ৬ নাটক

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ at ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের কালজয়ী সংগীতজ্ঞ প্রয়াত আবদুল গফুর হালীর ৩০০ গান ও ৬টি আঞ্চলিক নাটক কপিরাইট স্বীকৃতি পেয়েছে। পাঞ্জাবিওয়ালা, মনের বাগানে, সোনাবন্ধু কিংবা ‘দেখে যারে মাইজভাণ্ডারে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের অমর স্রষ্টা তিনি। চট্টগ্রামের প্রথম শিল্পী হিসেবে গফুর হালীর এসব গান কপিরাইট সনদ পেল। গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকার জাতীয় গ্রন্থাগারের কপিরাইট অফিসে আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন এবং রিসার্চ সেন্টারের সেক্রেটারি সাংবাদিক নাসির উদ্দিন হায়দারের হাতে গফুর হালীর গান ও নাটকের কপিরাইট সনদ হস্তান্তর করেন কপিরাইট রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী। কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী বলেন, আবদুল গফুর হালী হলেন চাটগাঁইয়া গানের প্রধানতম রূপকার। তাঁর গান বাংলাদেশ ছাড়িয়ে বিশ্ব পরিসরে সমাদৃত হয়েছে। অনন্য প্রতিভাধর এই সংগীতজ্ঞের অমর গানগুলো সংরক্ষণে পিএইচপি ফ্যামিলি ও আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর মতো কালজয়ী শিল্পীর গান ও নাটকের কপিরাইট সনদ দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেন, চট্টগ্রামের কোনো শিল্পীর গান এই প্রথম কপিরাইট সনদ পেল, যা আমাদের জন্য গর্বের। তাঁর গান সংরক্ষণের উদ্যোগের সাথে থাকতে পেরে পিএইচপি পরিবার গর্ববোধ করছে।
আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টারের সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন হায়দার বলেন, আবদুল গফুর হালী টানা ছয় দশক চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের গান গেয়েছেন। চট্টগ্রামের লোকসংগীত শিল্পীদের মধ্যে প্রথম গফুর হালীর ৩০০ গানের স্বরলিপি হয়েছে। চট্টগ্রামের প্রথম শিল্পী হিসাবেও তাঁর গান ও নাটক কপিরাইট স্বীকৃতি পেয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা
পরবর্তী নিবন্ধপাঠানটুলীতে নিহত বাবুল হত্যাকারীদের বিচার চাইল পরিবার