শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও উম্মে সালমার বিয়ে হয় সাড়ে ৫ বছর আগে। বিয়ের ৫ বছরের বেশি সময় হলেও কোন সন্তান নেওয়া হয়নি, এরপর তাদের সঙ্গে পরিবারের মানুষদেরও বড় শখ ছিল একটি সন্তানের। যে ছেলে মা-বাবা স্বজনদের কোলে-কোলে বড় হবে।
একটু বড় হয়ে সারা বাড়ি ঘুরে বেড়াবে। ছোটাছুটিতে ক্লান্ত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে মায়ের কোলে। পরম মমতায় মা কোলে নিয়ে আদর করবেন। তবে সেই আশা তাদের পূরণ হচ্ছিল না।
দীর্ঘ সাড়ে ৫ বছর অপেক্ষার পর অবশেষে সেই কন্যা সন্তান তাদের পরিবারে এসেছে। তবে তার জন্মের সময়ই শিশুটি হারিয়েছে তার মাকে। পরিবারের অভিযোগ ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলার কারণে ফুটফুটে শিশুটি তার মাকে হারিয়েছে। এ ঘটনা ঘটে শনিবার রাতে।
বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড এলাকায় মৃত উম্মে সালমা জেরিনের শ্বশুর বাড়িতে আজ রবিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে ভীড় করেছে এলাকার মানুষ। সবার চোখে মুখে বেদনার ছায়া।
স্বজনরা বলছেন, ডাক্তারের কারণে আমার মেয়েকে হারালাম। এখন কে আমার নাতনিকে আদর করবে? কে শিশুটিকে দুধ খাওয়াবে।
ফুটফুটে একদিনের শিশুটি মাঝে মাঝে দু-তিন সেকেন্ডের জন্য মিট মিট করে চোখ মেলে দেখছে। আবার চোখ বুঝে ঘুমাচ্ছে। যেখানে নিরাপদ মায়ের কোলে বসে তার পান করার কথা ছিল মায়ের বুকের দুধ। তার পরিবর্তে তাকে ফিডারে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন অন্যভাবে।
এসব দৃশ্য আর স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ। মৃত প্রসূতি হলেন- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের স্ত্রী উম্মে সালমা জেরিন।