কক্সবাজার সদরের ঈদগা-ঈদগড় সড়কের হিমছড়ি ঢালায় আঞ্চলিক শিল্পী জনি দে রাজকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে জেলার চকরিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন জনি দে। বৃহস্পতিবার সকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে জনি ও তার বাবা চকরিয়া থেকে বাড়ির পথে রওনা হন। সকাল ৮টার দিকে অটোরিকশাটি ঈদগা-ঈদগড়-বাইশারী সড়কের হিমছড়ি ঢালায় পৌঁছলে মুখোশধারী কয়েকজন গাড়িটির গতি রোধ করে। এরপর জনিকে গুলি করে তারা জঙ্গলে চলে যায়। জনি দে রামু উপজেলার ঈদগড় রাজঘাট এলাকার তপনের ছেলে। জনি ঈদগা কলেজ থেকে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। পড়ালেখার পাশাপাশি সে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে গান করত। খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজমিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থল রামু থানায় নয়। তবে ঘটনার পর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কঙবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, দোষীদের ধরতে সেখানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ডাকাতের গুলিতে তার মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
জনির সঙ্গে থাকা তার বাবা তপন দে জানান, বুধবার রাতে জেলার চকরিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন জনি দে। বৃহস্পতিবার সকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে জনি ও তার বাবা চকরিয়া থেকে বাড়ির পথে রওনা হন। সকাল আটটার দিকে অটোরিকশাটি ঈদগাহ-ঈদগড়-বাইশারি সড়কের হিমছড়ি ঢালায় পৌঁছালে মুখোশধারী কয়েকজন গাড়িটির গতিরোধ করেন। এরপর জনিকে গুলি করে তারা জঙ্গলে চলে যান। নিহত জনির বাবা তপন দের ভাষ্য, মুখোশধারী ব্যক্তিরা কাউকে কিছু না বলে শুধু জনিকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে গুলি করেন। তার মৃত্যু নিশ্চিত হলে তারা জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যান। তার সন্দেহ, এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ, দুর্বৃত্তরা তাকে (বাবা) ও অটোরিকশা চালককে কিছু বলেননি বা তাদের সঙ্গে কিছু করেননি।