কন্টেনার না নিয়েই বন্দর ত্যাগ করেছে দুইটি কন্টেনার ভ্যাসেল। একদিন বাড়তি সময় বন্দর জেটিতে অবস্থান করেও কন্টেনার না পৌঁছায় জাহাজ দু’টি প্রয়োজনীয় কন্টেনার না নিয়েই নোঙর তোলে। অপর একটি জাহাজ গতকালও দ্বিতীয় দিনের মতো কন্টেনারের অপেক্ষায় বন্দরের জেটিতে অবস্থান করছে। এদিকে চতুর্থ দিনের মতো পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দর ও বেসরকারি আইসিডিগুলোতে সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে কন্টেনারের পরিমাণ ৩৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির জের ধরে গত শুক্রবার থেকে গণপরিবহনের পাশাপাশি ট্রাক কাভার্ড ভ্যান ও কন্টেনার মুভার চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাসভাড়া ২৭ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দেয়ার পর বাস ও গণপরিবহন চলাচল শুরু হলেও ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও প্রাইম মুভারের ভাড়ার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত না হওয়ায় গতকাল চতুর্থ দিনের মতো পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকে। এতে চট্টগ্রাম বন্দর ও বেসরকারি আইসিডিগুলো থেকে বন্দরে পণ্য আনা নেয়া পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে কন্টেনারের পাহাড় তৈরি হচ্ছে বন্দর ও আইসিডিতে। গতকাল চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে ৩৮ হাজার ১৬৯ টিইইউএস কন্টেনার ছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, কলম্বোগামী তিনটি কন্টেনার জাহাজ রোববার বন্দর ত্যাগ করার সিডিউল ছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় কন্টেনার না পাওয়ায় জাহাজ তিনটি একদিন বাড়তি সময় অবস্থান করে কন্টেনারের জন্য অপেক্ষা করে। গতকালও কন্টেনার না পৌঁছায় উক্ত তিনটি জাহাজের দুইটি কন্টেনার না নিয়েই বন্দর ত্যাগ করেছে। অপর একটি জাহাজ এখনো কন্টেনারের জন্য অপেক্ষা করছে। জাহাজ তিনটিতে প্রায় সাড়ে তেরশ’ কন্টেনার নেয়ার কথা ছিল। এসব কন্টেনারের অধিকাংশই তৈরি পোষাক খাতের রপ্তানি পণ্য রয়েছে।
বন্দর সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানান, পরিবহন ধর্মঘটে বন্দরের পণ্য পরিবহনের স্বাভাবিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিজিএমইএ প্রথম সহ সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম গতকাল জানিয়েছেন- গার্মেন্টস খাতে সংকট প্রকট হচ্ছে। কলম্বো বা সিঙ্গাপুরের ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরে সময়মতো কন্টেনার পৌঁছানো না গেলে এয়ার শিপমেন্ট করতে হতে পারে। এতে রপ্তানি ব্যয় বহুলাংশে বেড়ে যাবে। কোভিড পরিস্থিতিতে নাজুক অবস্থায় থাকা দেশের গার্মেন্টস খাতে এই বাড়তি খরচ মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।












