ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের এতাওয়া জেলার। বিয়ে হচ্ছিল মনজেশ কুমার আর সুরভির। আনুষ্ঠানিকতা অনেকটাই এগিয়েছিল। বাকি ছিল ‘সাত ফেরা’ তথা সাত পাকে ঘোরানো। ঠিক সেই মুহূর্তেই হার্ট অ্যাটাক করেন সুরভি। অ্যাম্বুলেন্স আসতে না আসতেই মারা যান তিনি। লাশ যায়নি হাসপাতালেও। এ অবস্থায় অন্য একটা রুমে কনের সাজে সাজানো সুরভির লাশ রেখে আলোচনায় বসলেন দুই পক্ষ। এর মাঝে কেউ একজন বলে বসলেন, ‘তাই বলে কি বিয়ে আটকে থাকবে? সুরভির ছোটবোন নিশা আছে না?’ মেয়ে হারানোর শোকটাকে যেন বন্ধক রেখে প্রস্তাবে সায় দিলেন সুরভির মা-বাবা। স্বামী মনজেশও রাজি। পরক্ষণেই কনে সাজানো হলো সুরভির ছোটবোনকে। ‘আমরা বুঝতে পারছিলাম না ওই অবস্থায় কী করবো। দুই পরিবারই একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুপক্ষই তাতে সায় দিয়েছে।’ জানালেন সুরভির ভাই সৌরভ। এরপর নিয়মমাফিক বিয়েটা হয়েই যায়। তারা যখন সাত পাকে ঘুরছিলেন, পাশের রুমেই ছিল কনের সাজে সুরভির মরদেহ।












