কনসার্ট নয় ক্রিকেটে বিনিয়োগের আহ্বান তামিম ইকবালের

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ

আজ মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএলের ১১ তম আসর। তার আগে এরই মধ্যে তিনটি কনসার্ট আয়োজন করে ফেলেছে বিসিবি। যেখানে বিপুল অংকের অর্থ খরচ হয়েছে। যদিও ক্রীড়া বদলে যাওয়া প্রেক্ষাপটে বিপিএলকেও বদলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিসিবি। ভিন্ন অনেক কিছুই এবার হবে বলে জানানো হয়েছিল তাদের পক্ষ থেকে। তবে তামিম ইকবালের চোখে এবারের আসরকেও মনে হচ্ছে আগেরগুলোর মতোই। স্রেফ কয়েকটি কনসার্ট ছাড়া এখনও পর্যন্ত অন্যরকম কিছু আর চোখে পড়েনি দেশের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের। একেবারেই যে নতুন কিছু হচ্ছে না, তা অবশ্য নয়। প্রচারণায় একটু বাড়তি জোর দেওয়া, স্টেডিয়ামে বিনামূল্যে পানির ব্যবস্থা রাখা, এরকম টুকটাক কিছু সংযোজন এবার আছে। বিপিএলকে ঘিরে কনসার্ট বা উদ্বোধনী আয়োজন আগে শুধু ঢাকায় হলেও এবার চট্টগ্রাম ও সিলেটেও হয়েছে। তবে দেশের রাজনৈতিক পালাবদলের পথ ধরে বিসিবিতেও পরিবর্তনের পর নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ ও বোর্ড পরিচালক নাজমুল আবেদীন নানা সময়েই বলেছেন, এবারের বিপিএলে চমকপ্রদ ও নতুন অনেক কিছুই থাকবে। তবে তামিম ইকবাল টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন বললেন, নতুন তেমন কিছু তার চোখে পড়েনি। এই টুর্নামেন্টকে নতুন করে তুলে ধরতে পরামর্শও দিলেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক।

তিনি বলেন সত্যি কথা বলতে, অন্যরকম কিছু দেখিনি কনসার্টগুলো ছাড়া। আমার কাছে মনে হয়, অন্যরকম বিপিএল যদি আমাদের করতে হয়, আমাদেরকে ক্রিকেটে বিনিয়োগ করতে হবে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের টুর্নামেন্টে বিনিয়োগ করতে হবে। কনসার্ট বা অন্য কিছুতে নয়। ক্রিকেটে যদি বিনিয়োগ করি, টুর্নামেন্টে যদি বিনিয়োগ করি, তখন আমরা বলতে পারব যে এটা নতুন বিপিএল। কনসার্ট আগেও হয়েছে। এখনও হয়েছে। দারুণ একটা অনুষ্ঠান হয়েছে । যদিও তখন আমি দেশে ছিলাম না। কিন্তু এখনও এটা কিছুটা তাড়াতাড়ি হয়ে যায় মন্তব্য করার জন্য। কারণ আমি জানি না, কালকে কি আছে আমাদের জন্য। এটাও ন্যায্য হবে না যে, আমি একটা মন্তব্য করে দিলাম যেটা খারাপভাবে গেল। আমি এতটুকু বলতে পারি, কেউ যদি আমার কাছে পরামর্শ চায় তাহলে আমি এতটুকু বলব যে, বিপিএল পরিবর্তন করতে চাইলে টুর্নামেন্ট ও ক্রিকেটে বিনিয়োগ করুন। এতেই কেবল বদলাতে পারে টুর্নামেন্ট।

তামিম নিজে এখন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলে থাকলে কোন জায়গায় পরিবর্তন আনতেন, সেটা নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে চাইলেন না। বললেন এই উত্তরটা কোনো একসময় দেব। এটা লম্বা প্রক্রিয়া, লম্বা আলোচনা। এজন্য আমার মনে হয় না এই উত্তর দেওয়ার অবস্থায় আছি। বিপিএলে একশর বেশি ম্যাচ খেলা এই ব্যাটসম্যানের মতে, বিসিবি আর ক্রিকেটারদের যৌথ চেষ্টায় সফল হতে পারে এই টুর্নামেন্ট। তিনি বলেন দেখুন, ক্রিকেটটা কেমন হবে এটা নির্ভর করে খেলোয়াড়রা কেমন খেলছে সেটার ওপর। এটা তো আসলে যারা আয়োজক তাদের হাতে কিছু থাকে না। তাদের হাতে যা থাকে তা হচ্ছে সেরা ফ্যাসিলিটিজ দেওয়া, সেরা উইকেট দেওয়া, সেরা ধারাভাষ্যকার নিশ্চিত করা, ক্যামেরা ও টেকনোলজি যেটা পাওয়ায় যায় তা নিশ্চিত করা। এটা হলো যারা দায়িত্বে বসে আছেন তাদের কাজ। কিন্তু উনারা কোনদিন এটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না আসলে খেলা দুইশ রানদুইশ রানের হবে নাকি ৬০ রান, ৬০ রানের হবে। ওটার দায়িত্ব দল ও খেলোয়াড়দের নিতে হবে। এটার বাইরে যেগুলো সেগুলো উনাদের দায়িত্ব। উনারা যদি উনাদের কাজটা ভালো মতো করেন, আমরাও যদি আমাদের কাজ ভালো মতো করি তাহলে সফল টুর্নামেন্ট হবে সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের লড়াইয়ে রাজা-হেড-বাবর-আর্শদিপ
পরবর্তী নিবন্ধচিটাগাং কিংসের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে ঢাকায় শহীদ আফ্রিদি