আগ্রাবাদে গণপূর্ত কার্যালয়ে ঢুকে প্রকৌশলীকে হত্যার হুমকি ও ঠিকাদারকে মারধরসহ তাণ্ডবের ঘটনায় গ্রেপ্তার কথিত যুবলীগ ক্যাডার এস এম পারভেজের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামির চারদিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত উক্ত আদেশ দেন। আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার কাজী শাহাবুদ্দিন আহমদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এসময় আদালতে আসামি পারভেজকে হাজির করা হয়েছিল। এর আগে গণপূর্ত বিভাগ-২’র নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামাল বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলা দায়েরর পর রাত সাড়ে ১১টায় পারভেজকে গ্রেপ্তার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, পারভেজের বিরুদ্ধে আগ্রাবাদে গণপূর্ত অধিদপ্তরের দরপত্র নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে। আগ্রবাদে সিজিএস কলোনীর মুখে গণপূর্ত বিভাগের রেস্ট হাউজ দখল করে সেখানে বসে গত কয়েক বছর ধরে দরপত্র নিয়ন্ত্রণ করে আসছে পারভেজ। তার অন্যতম সহযোগী পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামি দাতলা সুমন সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দেয়া পারভেজ আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন বাচ্চুর অনুসারী বলে জানা গেছে। একটি সময় যুবদলের রাজনীতি ছেড়ে সরকারি দলের নেতাদের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে কয়েকবছরের মধ্যে আগ্রাবাদে গণপূর্তসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের নিয়ন্ত্রক হিসেবে সে পরিচতি পায়। ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, পারভেজের বিরুদ্ধে এরআগেও ৬টি মামলা রয়েছে।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়-সোমবার আগ্রাবাদ গণপূর্ত বিভাগের কার্যালয়ে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের বৈঠক হয়। সেখানে গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীদের পাশাপাশি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে তাদের অধীনে চলমান সন্দীপে টিটিসিতে সাবস্টেশন স্থাপন ও মধ্য হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ির একটি ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আনাস ট্রেডিংয়ের মালিকের সাথে কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রকৌশলীরা কথা বলছিলেন। এসময় এসএম পারভেজ সাত-আটজন লোকসহ তার কার্যালয়ে ঢুকে আনাস ট্রেডিংয়ের মালিক কে জানতে চান এবং ঠিকাদার খলিলুর রহমানের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাকে কলার চেপে ধরে মারধর করে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, এসময় উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রায়হান ইবনে সুলতানের হাতে মোবাইল দেখে ভিডিও করা হচ্ছে সন্দেহে তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে পারভেজের এক সহযোগী। এরপর তারা কার্যালয় থেকে বের হয়ে যায়। পরে পারভেজ পুনরায় তার কার্যালয়ে গিয়ে প্রকৌশলী রায়হানকে হত্যার হুমকি দেয়।











