কথা রেখেছে সেনাবাহিনী, মিলছে মেগা প্রকল্পের সুফল

জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ কম হওয়ায় খুশি নগরবাসী । মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি সাড়ে ৮৪ শতাংশ । ২৫ খালের কাজ শতভাগ সম্পন্ন । ২ কোটি ৭৫ লাখ ৯৪ হাজার ৯৫৬ সিএফটি মাটি উত্তোলন

মোরশেদ তালুকদার | রবিবার , ১ জুন, ২০২৫ at ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ

২০২৪ সালের ২০ আগস্ট। ওইদিন বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নগরে বৃষ্টি হয়েছে ১২৩ মিলিমিটার। এতে তলিয়ে যায় শহরের বহু এলাকা। মুরাদপুরে প্রায় বুক সমান পানি জমে যায়। যার স্থায়িত্ব ছিল দীর্ঘক্ষণ। এ জলাবদ্ধতার কারণে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে।

৩০ মে ২০২৫। এদিন বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নগরে বৃষ্টি হয়েছে ২২৩ দশমিক ৪ মিলিমিটার। অবাক করা বিষয়, এবার মুরাদপুরসহ শহরের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পানি জমেনি। হয়নি জলাবদ্ধতা। অথচ ২০২৪ সালের আগস্ট এর চেয়ে এবার প্রায় দ্বিগুণ বৃষ্টি হয়েছে। শুধু মুরাদপুর নয়। জলাবদ্ধতা হয়নি শহরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও। যেমন ২০২৪ সালের বর্ষা মৌসুমে নগরের ৬৬টি স্থানে জলাবদ্ধতা হয়। যার স্থায়িত্ব ছিল ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। কিন্তু চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকটি স্পটে জলজট হয়। তাও তার স্থায়িত্ব ছিল অল্প সময়। যেমন গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৮২ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। এবারও হাতে গোনা কয়েকটি স্পটে জলজট হয়েছে, দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা হয়নি। এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নগরবাসী।

মেগা প্রকল্পের সুফল : নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চলছে ১৪ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকার চারটি প্রকল্পের কাজ। এর মধ্যে মেগা প্রকল্প খ্যাত ৮ হাজার ৬২৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে সিডিএ’র ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মূলত এ প্রকল্পের সুফল মিলছে, তাই কমেছে জলাবদ্ধতা; এমনটাই দাবি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ আজাদীকে বলেন, খাল পাড়ে থাকা ৩ হাজার ৭৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। প্রকল্পভুক্ত ৩৬ খালের মধ্যে ৩৫ খালেই আমরা হাত দিয়েছি। ২৫টি কাজ শতভাগ এবং ৫টি খালের কাজ ৯০ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে। বাকিগুলোর কাজও প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদে (২০২৬ সালের জুন) শেষ করতে পারব।

তিনি বলেন, এখনো তো পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। কিন্তু আমাদের টার্গেট ছিল যতটুকু শেষ হয়েছে তার সুফল যেন সবাই উপভোগ করে। সবার সহযোগিতায় এবার সেটা হয়তো বা আমরা অর্জন করতে পারছি। পুরো বিষয়টি আসছে কিন্তু ‘মেথডিক্যাল অ্যাপ্রোচ’এর কারণে। এবার নরমাল অ্যাপ্রোচ’এ যাইনি, পুরোটা ‘মেথডিক্যাল অ্যাপ্রোচ’এ ছিলাম। দুই সিজনের সমান কাজ এবার এক বছরে করেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে লে. কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ বলেন, এবার আমাদের পরিকল্পনাটা অন্য রকম ছিল। যেমন আমরা খালে কাজ করে গেলাম, খালে গভীরতা বেড়েছে। কিন্তু খালে পানি আসলে তো সুফল আসবে না। তাই আমাদের টার্গেট হচ্ছে খালে পানি নামানো। সেজন্য টারশিয়ারি ও সেকেন্ডারি হয়ে তো খালে পানি ফেলতে হবে। তাই গতবার পানি উঠেছে এমন ৬৬টি লোকেশনকে ঘিরে সামগ্রিক পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগিয়েছি। লোকেশনগুলোতে পানি কেন উঠে এবং এর সলিউশন কী, এসব বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে সলিউশনের মূলে গেছি। সেজন্য আমাদের দায়িত্বের মধ্যে ছিল না সে কাজগুলোও করেছি। অন্য সংস্থার আওতাভুক্ত কাজও করেছি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছেজনগণ যাতে কোনোভাবেই দুর্ভোগে না পড়ে।

মুরাদপুরে এবার জলাবদ্ধতা না হওয়ার জন্য বিশেষ কোনো উদ্যোগ ছিল কীনা জানতে চাইলে লে. কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ বলেন, স্পেশাল কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। এটা চশমা এবং মির্জা খালের সংযোগস্থল। এখানে ড্রেনএর যে সার্কিট তা খুব জটিল ছিল। মির্জা এবং মির্জা এঙটেনশন খালের পানি প্রবাহ করে ছোট্ট একটা কালভার্ট দিয়ে। এটা খুব নিচু এবং ইউটিলিটি লাইন ছিল সেখানে। এতে নরমাল যে হাইড্রোলিক ফ্লো সেটা ব্যাহত হয়। এজন্য আমাদের প্ল্যান ছিল কালভার্টটির স্বাভাবিক পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা। সেটার কাজ শুরু হয়েছে। আবার পাশে যে ড্রেন আছে সেটা প্রশস্ত এবং গভীরতা করাও প্লান ছিল। ড্রেনটার কাজ আমরা করেছি। এজন্য পানি চলে গেছে। কালভার্টটার কাজ সম্পূর্ণ হলে মুরাদপুর আর ডুববে না।

কথা রেখেছে সেনাবাহিনী : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অগ্রাধিকার দিয়ে জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে তদারকি করতে দায়িত্ব দেন চারজন উপদেষ্টাকে, গঠন করা হয় তাদের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। চার উপদেষ্টা হচ্ছেনবিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিষযক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ওই কমিটির একটি সভা হয় গত ৮ ফেব্রুয়ারি। এতে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সেনাবাহিনী চার মাসের কর্মপরিকল্পনা দিয়ে প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি এগিয়ে নেয়ার কথা দেয়। সে কথা রাখে সেনাবাহিনী। যার সুফল পাচ্ছেন নগরবাসী।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, মেগা প্রকল্পের এ পর্যন্ত ভৌত অগ্রগতি হয়েছে সাড়ে ৮৪ শতাংশ। লে. কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ আজাদীকে বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে উপদেষ্টাদের মিটিং হয়। তখন প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ছিল ৭৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ওই মিটিংয়ে চার মাসের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী মে মাসে ভৌত অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ করার প্রতিশ্রুতি ছিল। সে প্রতিশ্রুতি আমরা পূরণ করেছি। গত চার মাসে প্রায় ২০ কিলোমিটারের মত রিটেইনিং ওয়াল করেছি। মেথডিক্যাল প্ল্যানের কারণে এসব হয়েছে। তিনি বলেন, হালিশহর, শাপলা আবাসিক এলাকা এবং চান্দগাঁওয়ে এবার পানি কমে গেছে। এরকম অগণিত জায়গা পাবেন যেখানে গতবার পানি উঠলেও এবার উঠেনি। কারণ আমরা কাজ করেছি।

২৫ খালের কাজ শতভাগ শেষ : মেগা প্রকল্পভুক্ত ৩৬ খালের মধ্যে শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে ২৫ খালের। খালগুলো হচ্ছেরাজাখালী খাল, ২ ও ৩, কলাবাগিচা খাল, মরিয়মবিবি খাল, টেকপাড়া খাল, সদরঘাট খাল১ ও ২, ফিরিঙ্গিবাজার খাল, মোগলটুলি খাল, গুপ্তা খাল, আজববাহার খাল, নাছির খাল, বামনশাহী খাল, রুবি সিমেন্ট খাল, নয়ারহাট খাল, উত্তরা খাল, খন্দকিয়া খাল, ১৫ নম্বর ঘাট খাল, বদরখালী খাল, শীতলঝর্ণা খাল, ত্রিপুরা খাল, গয়নাছড়া খাল, চশমাতুলাতুলি খাল ও বাকলিয়া খাল।

কাজ চলমান ১০ খালে : মেগা প্রকল্পভুক্ত ১০টি খালে কাজ চলমান আছে। তবে এর মধ্যে বেশিরভাগ খালের কাজ ৯০ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে। খালগুলোর মধ্যে বির্জা খালের ৯৪ শতাংশ, চাক্তাই খালের ৯২ শতাংশ, মহেশ খালের ৯২ শতাংশ, ডোমখালী খালের ৯১ শতাংশ, মহেশখালী খালের ৯০ শতাংশ, চাক্তাই ডাইভারশন খালের ৯১ শতাংশ, মির্জা ও মির্জা এক্সটেনশন খালের ৭২ শতাংশ, নোয়া খালের ৬০ শতাংশ, রামপুর খালের ৫৮ শতাংশ ও জামালখান খালের কাজ শেষ হয়েছে ২৭ শতাংশ।

২ কোটি সিএফিটি মাটি উত্তোলন : মেগা প্রকল্পের আওতায় নগরের খাল ও ড্রেন থেকে গত এক বছরে ২ কোটি ৭৫ লাখ ৯৪ হাজার ৯৫৬ সিএফটি মাটি ও আবর্জনা অপসারণ করা হয়। এর মধ্যে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৫৪ হাজার ৯০০ সিএফটি হচ্ছে মাটি এবং ৮২ লাখ ৪০ হাজার ৬৬ সিএফটি হচ্ছে স্ল্যজ। খাল ও ড্রেন থেকে মাটি ও স্ল্যজ পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, মেগা প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি খাল থাকলেও নগরবাসীকে জনদুর্ভোগ থেকে রক্ষায় ৪৩টি ড্রেন পরিষ্কার করে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সেনাবাহিনী। এর মধ্যে রয়েছেকেবি আমান আলী রোড রাহাত্তারপুল এলাকা, নুরন্নবী কলোনী সংলগ্ন, আজগর আলী মিস্ত্রি বাড়ি সংলগ্ন, ওমর আলী মাতব্বর রোড, ২ নম্বর গেট থেকে নাসিরাবাদ বয়েজ স্কুল, হেমসেন লেন, ঝাউতলা রোড, চন্দনপুরা সিরাজদৌলা রোড, সিএন্ডবি কলোনী থেকে ২ নম্বর গেট, রুমঘাটা জেলেপাড়া, এক্সেস রোড কালাম কলোনী, মির্জা এক্সটেনশন থেকে সানমার টাওয়ার, চট্টেশ্বরী, দেব পাহাড় ছড়া, কাপাসগোলা স্কুল থেকে বহাদ্দারহাট পুলিশ বক্স, অক্সিজেন মোড়, আগ্রাবাদ টিএন্ডটি স্কুলহাজীপাড়া ড্রেন, বিএসআরএম থেকে অক্সিজেন বাম পাশ, শান্তিবাগ ড্রেন, চুনা ফ্যাক্টরী মোড় ড্রেন, এন মোহাম্মদ থেকে বহদ্দারহাট পুলিশবক্স, মোহরা কাজিরহাট ইউ ড্রেন, মধ্য বদরখালী ড্রেন, বিএসআরএম থেকে অক্সিজেন ডান পাশ, শুলকবহর মাদ্রাসা থেকে সুফিবাড়ি, আজব বাহার খালের সংযোগ ড্রেন, বাদুরতলা ছড়া, শুলকবহর ডেকোরেশন গলি, এস এ পরিবহন বাইলেইন ড্রেন, আবু বক্কর জামে মসজিদ সংলগ্ন ড্রেন, চুনা ফ্যাক্টরী মোড় ড্রেন (শ্যামলী আবাসিক), খতিবের হাটশমসের পাড়া, টেকবাজার ড্রেন, পুরাতন বিমান অফিস, চামড়ার গুদাম, চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকা, বহদ্দারহাট পুলিশবক্স, মুরাদপুর থেকে এন মোহাম্মদ এলাকা, অনন্যা আবাসিক এলাকা, রূপসা বেকারি ও বহদ্দারহাট কাচা বাজার এলাকা।

মনিটরিং সেল গঠন : এবার জলাবদ্ধতার স্পটগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়। এতে জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত সিডিএর অন্য একটি প্রকল্প এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্পের কর্মকর্তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পুরো শহরকে ১৬টি কিউআরএফ (কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স) এর অধীন ভাগ করা হয়। যেখানে পানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে সেখানে শ্রমিক নিয়োজিত করা হয়। সবগুলো মনিটরিং সেল থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। মনিটরিং সেলএর হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে কেউ জলাবদ্ধতার তথ্য দিলে সাথে সাথে সমাধান করা হচ্ছে।

এবার সমন্বয়ে ঘাটতি ছিল না : কাজ করতে গিয়ে সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে কোনো সমস্যা ছিল কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবার সর্বোচ্চ সমন্বয় হয়েছে। সমন্বয়ের দীর্ঘসূত্রতা যেটা বিগত সময়ে ছিল সেটা এবছর অনেক কমে গেছে। প্রধান উপদেষ্টার এ বিষয়ে ফোকাস ছিল, আরো চারজন উপদেষ্টাও এজন্য কাজ করেছেন। চারজন উপদেষ্টা প্রায় আসতেন, আমাদের সঙ্গে বসতেন, সমস্যাগুলো নিজেদের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করতাম। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করি। তিনি বলেন, প্রধান সড়কগুলোতেও আমাদের ফোকাস বেশি ছিল। কারণ প্রধান সড়কে পানি উঠলে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাই জিইসি সার্কেল, ২ নম্বর গেইট, মুরাদপুর, বিএসআরএম সার্কেল; এসব জায়গাগুলোতে ফোকাস ছিল।

হিজরা খালে কাজ বন্ধ : লে. কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ আজাদীকে বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে হিজরা খালের কাজ বন্ধ আছে। তবে এটা কেন্দ্রীয় ভূমি অধিগ্রহণ কমিটিতে উঠেছে। আগামীকালও (আজ) এ বিষয়ে সভা হতে পারে।

এদিকে হিজরা খালের ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে সিডিএ থেকে প্রথমে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়। প্রস্তাবে ভুল থাকায় সংশোধিত প্রস্তাব প্রেরণের জন্য ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সিডিএকে চিঠি দেয় জেলা প্রশাসন। সংশোধিত প্রস্তাবে একই ভুল থাকায় ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর পুনরায় সংশোধিত প্রস্তাব প্রেরণ করে। সেই আলোকে বিগত গত ১৯ ডিসেম্বর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ত্রুটি থাকায় অধিগ্রহণ প্রস্তাবটি ভাগ করে দুটি প্রস্তাব প্রেরণের অনুরোধ করা হয়। প্রস্তাব দুটি বিগত গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত স্থান নির্বাচন কমিটির সভায় আলোচনা করা হয়। এতে বিদ্যমান খালের পাশে একাধিক বহুতল ভবন থাকায় প্রকল্পের ব্যয় হ্রাসের নিমিত্তে সিদ্ধান্ত পেন্ডিং রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে হচ্ছে দেশের প্রথম মনোরেল
পরবর্তী নিবন্ধচবি পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতির বিরুদ্ধে ২০ শিক্ষকের ১২ অভিযোগ, অনাস্থা