কথা বলতে না দিতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন : ফখরুল

| বুধবার , ১২ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে দেশের নাগরিকদের ‘প্রতিহত করা হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঢাকার গুলশানে গতকাল এক সেমিনারে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে নাগরিকদের নির্যাতন করা হচ্ছে। এখন কী করছে? যে কেউ বাইরে থেকে যদি কোনো লেখা লেখে বা স্ট্যাটাস দেয়…, ডয়েচে ভেলের একটা ভিডিও গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে র‌্যাবের ঘটনা নিয়ে। সেই ভিডিওতে একজন সাক্ষ্য দিয়েছিল নাফিজ, তাকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের একটাই লক্ষ্য, নাগরিকদের কথা বলতে দেওয়া হবে না, নাগরিকদের তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হবে না। তারা তাদের মতো করে এখনও রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, করেছে সেইভাবে। খবর বিডিনিউজের।

গুলশানে লেকশোর হোটেলে বিএনপির উদ্যোগে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক কাঠামো’ শীর্ষক এই সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছিলেন বিএনপি মহাসচিব। সরকার ওই আইনের মাধ্যমেই ‘নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন দিয়ে নাগরিকদেরকে প্রতিহত করা হচ্ছে যে, তারা তাদের কথা বলবে না, তারা তাদের অভিযোগগুলো বলবে না, তারা লিখবে না, সাংবাদিকরা যেন না লিখে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঠিক একইভাবে অন্যান্য আইনগুলো দিয়ে আজকে এই নির্বাচনে তারা প্রতিপক্ষকে সম্পূর্ণরূপে দূরে রেখে নির্বাচন পার হয়ে যেতে চায়।

কেউ যেন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে না পারে, সেজন্যই সরকার এ আইন করেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, এই সরকার কোনো নির্বাচিত সরকার নয়, দখলদারী একটা সরকার। তারা এসব আইন করে ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করতে চায়। সামনে নির্বাচন, এই নির্বাচন সামনে রেখে যেন কেউ রুখে দাঁড়াতে না পারে, কেউ যেন তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে না পারে এবং নির্বাচনে তাদেরকে কেউ যেন বাধা দিতে না পারে তার জন্য এই সমস্ত আইনগুলো করে নিয়ে যাচ্ছে।

এ ধরনের ‘কালাকানুন’ বাতিলের দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, সবার আগে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করতে হবে। এটা এখন দেশের দাবি, জনগণের দাবি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থেকে পরিত্রাণ পেতে ‘সরকারের পতনের বিকল্প নেই’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। হাতিরঝিল থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী অপুকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে দাবি তার সন্ধান ও মুক্তির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।

সেমিনারে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদিনে নীরব, রাতে সরব
পরবর্তী নিবন্ধসিটি নির্বাচনে বিএনপির ঘোমটা পরা প্রার্থী থাকবে : কাদের