ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন রাঙ্গুনিয়ার ৩ প্রবাসী। গত রোববার ওমানের সময় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সালালাহ থেকে মাস্কাটগামী একটি প্রাইভেট কার সড়কের আল তামরিত নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গতকাল প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা বিলাপ করছেন।
নিহত সালাউদ্দিনের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী বলেন, আমার ছোট ভাই ৩ বছর আগে ওমান গেছে। এবার লকডাউন শেষে দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় সে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। আমাদের পরিবারে ৩ ভাই ১ বোনের মধ্যে সে মেঝ ছেলে। তার স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তান রয়েছে।
নিহত জাহিদুল আলমের ভাগিনা ইফতেখার আহাম্মদ জিসান বলেন, ৬ বছর ধরে মামা ওমানে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন। সর্বশেষ ১২ মাস আগে দেশে ছুটতে এসেছিলেন। তার পরিবারে মা, বাবা, স্ত্রী এবং ১৭ ও ৯ বছর বয়সী দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনিও লকডাউন শেষে দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু মৃত্যু তাকে আর জীবন্ত আসতে দেয়নি। তবে এখন মৃতদেহ আনা নিয়েও বিভিন্ন শঙ্কা দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে নিহত আক্তার হোসেনের ছোট ভাই মো. ইব্রাহীম বলেন, আমার ভাইয়ের পরিবারে ৩ মেয়ে। এর মধ্যে ২ মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ১৬/১৭ বছর ধরে ওমানে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন।
তাদের কর্মরত কোম্পানির স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, তারা মাস্কাট থেকে ১ হাজার কি.মি দূরে সালালাহ নামক অপর এক সিটিতে পর্দার কাজ করতে এক সপ্তাহ পূর্বে গিয়েছিলেন। কাজ শেষ করে প্রাইভেট কারে মাস্কাটে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের লাশ দেশে ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ নেয়া হচ্ছে।











