খেলোয়াড় হিসেবে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার ছিল আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার। কামিয়েছেনও দুই হাত ভরে। একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে হারিয়েছেনও অনেক। এরমধ্যে মাদকের সঙ্গে নাম জড়ানো আর ট্যাক্স ফাঁকির কারণে আইনি ঝামেলা তো ছিলই। এসবের কারণে বিপুল পরিমাণ অর্থ খুইয়েছেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবনে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতনের খেলোয়াড় হওয়ার পরও তাই শেষ সময়ে তার হাতে খুব বেশি অর্থ ছিল না।
জীবনের শেষ দিকে খরচের হাতে টান পড়লেও দমে যাননি তিনি। দামি ঘড়ি, কিউবান চুরুট, মদ আর মাদক ছিল তার নিত্যসঙ্গী। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমাস-এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নাপোলিতে ক্লাব ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটানো ম্যারাডোনা বেতন পেতেন ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যের বাণিজ্যিক দূত হিসেবে আয় করেছেন ১ কোটি ডলারের বেশি। এছাড়া বার্সা থেকেও পেতেন মোটা অংকের অর্থ। বিশ্বের প্রায় নামকরা সব ব্র্যান্ডের ঘড়ি পরতে ভালোবাসতেন ম্যারাডোনা। প্রায়ই তাকে দু’হাতেই ঘড়ি পরতে দেখা যেত। সব সময়ই কানে হীরার দুল পরতেন ম্যারাডোনা। প্রিয় ছিল কিউবান চুরুট। ট্যাটু করেছিলেন তিনি। তার হাতে জায়গা করে নিয়েছে বিংশ শতাব্দীর বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী নেতা চে গুয়েভারার মুখ। পায়ে ছিল প্রিয় বন্ধু ও কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর মুখচ্ছবি। গ্যারেজে ছিল ফেরারি, রোলস রয়েস, পোরশে, অডিসহ অন্তত ১০টি গাড়ি। কিন্তু হায় শেষ বেলায় প্রায় খালি হাতেই দিন কেটেছে এই কিংবদন্তির।
একসময় অতিরিক্ত বিলাসী জীবন কাটানো ম্যারাডোনার আর্থিক অবস্থা মোটেও ভাল ছিল না শেষ দিকে। মৃত্যুর সময় এই কিংবদন্তির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল নাকি মাত্র ১ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা মাত্র ৮৫ লাখ টাকা।