চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আশপাশে ব্যক্তি মালিকানাধীন কটেজ ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুঃশ্চিন্তা কাটছেই না।
এখন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় কিছু শিক্ষার্থী কটেজে অবস্থান করলেও বেশির ভাগই অবস্থান করছেন বাড়িতে। কটেজে আসলেই তাদেরকে ভাড়ার দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
অন্যান্য ক্যাম্পাসে বাসা ভাড়া ৪০-৫০ শতাংশ কমানো হলেও এ ক্যাম্পাসে কটেজ মালিক সমিতির এক সিদ্ধান্তে একসাথে পরিশোধ করলে সর্বোচ্চ ২০% মওকুফ করবে জানিয়েছে স্থানীয় কটেজ মালিক সমিতি।
তবে শিক্ষার্থীরা কটেজে ফিরলে ভাড়া নিয়ে যাতে কোনো সমস্যায় পড়তে না হয় সেজন্য দফায় দফায় কটেজ মালিক সমিতির সাথে বৈঠক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
এতে কটেজ মালিক সমিতির কাছে শিক্ষার্থীদের সমস্যা এবং বাস্তবতা তুলে ধরে অন্তত ৪০% ভাড়া কমানোর জন্য অনুরোধ করেছেন প্রক্টরিয়াল বডি কিন্তু কটেজ মালিক সমিতি কোনোভাবেই ২০ শতাংশের বেশি ছাড় দিতে রাজি হয়নি।
সর্বশেষ আগস্টের শেষের দিকে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে কটেজ মালিক সমিতির বৈঠক হয়।
এতে প্রক্টরিয়াল বডি অন্তত ৪০% ভাড়া মওকুফের অনুরোধ করেন। অনুরোধ না রাখায় বৈঠকটি অমীমাংসিত থেকে যায়।
এরপর ৫ সেপ্টেম্বর কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে প্রক্টরের অনুরোধে ভাড়া ২০% কমানো হয়েছে বলে জানায় সমিতি কিন্তু এমন কোনো অনুরোধ করেননি বলে জানান চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া।
তিনি আজাদীকে বলেন, “আমাদের সহকারী প্রক্টররা অনেকবার কটেজ মালিকদের সাথে আলোচনা করেছেন ভাড়া কমানোর ব্যাপারে কিন্তু তারা আমাদের দেয়া ৪০% ভাড়া কমানোর অনুরোধ রাখেননি। সর্বশেষ তাদের আবার অনুরোধ করেছি। তবুও তারা তাদের দাবির পক্ষে অটল দেখে বলেছি ঠিক আছে আপনারা অনড় থাকলে আসতে পারেন।”
তিনি বলেন, “কটেজগুলো ক্যাম্পাস এরিয়ার বাহিরে হলেও শিক্ষার্থী সম্পর্কিত হওয়ায় আমরা তাদের সবরকম সমস্যায় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। এরপর কেউ ঝামেলা করলে সেটার দায়ভার আমরা নেব না।”
কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি মো. শাহ আলমকে মোবাইল ফোনে অনেকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
তবে তিনি এর আগে গণমাধ্যমকে বলেছেন, “চবি ক্যাম্পাস কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সভায় কটেজের বকেয়া ভাড়া ২০ শতাংশ ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত এপ্রিল মাস থেকে এই ছাড় কার্যকর হবে। কটেজ মালিক সমিতি সবার সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”