কখনো ম্যাজিস্ট্রেট কখনো সাংবাদিক

প্রতারক বাবু অবশেষে গ্রেপ্তার

পটিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৩ জুন, ২০২১ at ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ

কখনো ম্যাজিস্ট্রেট, কখনো সাংবাদিক। বিভিন্ন পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা করে আসছিলেন বাবু চৌধুরী (৩২)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরা পড়তে হলো তাকে। ম্যাজিস্ট্রেট সেজে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা তুলতে গিয়েছিলেন বাবু। সেখানে উত্তেজিত জনতার উত্তম মধ্যমের শিকার হন তিনি। এরপর পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় তাকে। যেতে হয় কারাগারে। পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে, এক বছর ধরে পটিয়ায় বিভিন্ন পরিচয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন বাবু। গত রমজানের সময় উপজেলার ধলঘাটের রহমান বেকারিতে গিয়ে নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেন তিনি। এ সময় ওই বেকারির মালিক থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। পরে প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মে মাসের টাকা না পাওয়ায় ওই বেকারিতে হাজির হন বাবু। তখন বেকারি মালিকসহ আশপাশের লোকজনের সন্দেহ হয়। ধরা পড়েন বাবু। এ ঘটনায় বাবু ও তার সহযোগী মুজাফরাবাদ এলাকার আবুল কাসেমের ছেলে আগুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলা করেছেন বেকারি মালিক রিফাত চৌধুরী।
জানা গেছে, বাবু আনোয়ারা উপজেলার মৃত মনির আহমদের পুত্র। তবে নিজেকে পটিয়া পৌর শ্রমিকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, পটিয়া বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সহ-সভাপতি ও ভোক্তাধিকারের কর্মকর্তা হিসেবেও পরিচয় দিতেন। পটিয়া পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, বাবু চৌধুরী বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিক লীগের নেতা হিসেবে নিজেকে জাহির করত। তবে সে কোন পদ-পদবীতে নেই। মিনারেল ওয়াটার সেল করতো একসময়। সেলসম্যান থেকে এত বড় প্রতারক হয়ে উঠেছে তা জানা ছিল না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধপ্রতারণার অভিনব কৌশল