কক্সবাজার সৈকতে দল বেঁধে ইফতার

কক্সবাজার প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:১৯ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার এখন প্রায় পর্যটক শূন্য। কিন্তু প্রতিদিন বিকালে ইফতার করার জন্য সমুদ্র সৈকতে ছুটছেন স্থানীয় শত শত মানুষ। সপরিবারে অথবা বন্ধুবান্ধব মিলে দল বেঁধে ইফতার করার জন্য জনপ্রিয় ওঠেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।

রমজান আসার পর থেকেই কক্সবাজার শহর থেকে হিমছড়ি পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতে প্রতিদিন শত শত মানুষকে ইফতার করতে দেখা যায়। গতকাল সোমবার বিকালেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। তবে গরম বাড়ার সাথে সাথে সৈকতে ইফতার করা মানুষের হারও দিনদিন বাড়তে দেখা যায়।

গতকাল সমুদ্র সৈকতে কথা হয় ঈদগাঁও আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম মোর্শেদ ফরাজীর সাথে। তিনি স্ত্রীসন্তান ও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ইফতার করতে এসেছেন দরিয়ানগর সৈকতে। তিনি বলেন, অনেকদিন পর সৈকতে ইফতার করলাম। এ এক অন্য ধরনের অনুভূতি। একই সৈকতে দেখা হয় স্থানীয় সংবাদ কর্মী এমরান ফারুক অনিকের সাথে। তিনি বলেন, আমরা দুই ডজন বন্ধুবান্ধব মিলে সৈকতে ইফতার করতে এসেছি। আর সৈকতে ইফতার করার অনুভূতি ফাইভ স্টার হোটেলের সাথেও তুলনা চলে না।

কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমির সভাপতি মুহম্মদ নুরুল ইসলাম ও লেখক নুরুল আজিজ চৌধুরী বলেন, ছোটকাল থেকেই দেখে আসছি স্থানীয়রা রমজান মাসের কোন না কোন দিন শখ করে সৈকতেই ইফতার করে। তবে সাম্প্রতিককালে এর পরিসর অনেক ব্যাপক হয়েছে। তারা জানান, স্বাধীনতার আগেপরে পুরনো ঝিনুক মার্কেট, মোটেল শৈবাল পয়েন্ট ও লাবণী পয়েন্ট সৈকতেই বেশি ইফতার করত মানুষ। আর এখন শহরের বাসিন্দারা নির্জনতার জন্য শহরের সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট পেরিয়ে হিমছড়ি সৈকত পর্যন্ত ছুটে যাচ্ছে। কক্সবাজার শহর ছাড়াও জেলার অন্যান্য সমুদ্র তীরের বাসিন্দাদের কাছেও সৈকতে ইফতার করা একটি আবহমান সংস্কৃতির অংশ হয়ে ওঠেছে বলে জানান কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী।

স্থানীয়রা জানান, সৈকতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ইফতার করলেও সৈকতে কোনো ইফতার বিক্রি হয় না। মূলত সেই ইফতার ঘরে প্রস্তুত করে অথবা দোকান থেকে কিনে সৈকতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সময় মতো সবাই ইফতার করে সৈকত ত্যাগ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্যান্সারের চিকিৎসায় সুখবর
পরবর্তী নিবন্ধকেনাকাটা নিয়ে ছোট বোনের সাথে অভিমানে আত্মহত্যা