কক্সবাজার সৈকতে একদিনে হারিয়েছে ৮ শিশু, সবাইকে উদ্ধার

কক্সবাজার প্রতিনিধি | বুধবার , ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ১০:১২ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে কাজ করে যাচ্ছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির নিয়োজিত কর্মীরা। দেশের নানা প্রান্ত থেকে সৈকতে এসে হারিয়ে যাওয়া পর্যটকদের উদ্ধার ও তথ্য সরবরাহ করে নিয়মিত পর্যটক সেবা করে যাচ্ছেন তারা।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজার সৈকতের ব্যস্ততম কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে বেড়াতে এসে হারিয়ে যাওয়া ৮ শিশুকে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার মো. বেলাল হোসেন।

উদ্ধার হওয়া শিশুরা হলো চট্টগ্রামের হালিশহরের শহিদুল ইসলামের মেয়ে মিফতাহুল জান্নাত (), ঢাকার ডেমরার মাসুদ পারভেজের ছেলে তাওসিফ (), ফেনীর ছাগলনাইয়ার ইমাম হোসেন জাহেদের মেয়ে কাসফিয়া (), রাজশাহীর আশরাফ হোসেনের ছেলে সাফিউল্লাহ সাফি (১০), চট্টগ্রামের মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে রুশমি ()। অন্য ৩ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

নিজের শিশুকন্যাকে ফিরে ফিরে পেয়ে ইমাম হোসেন জাহেদ বলেন, আমাদের অসাবধানতার কারণে তিন বছরের মেয়েটি হারিয়ে যায়। অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজি করে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। পরে বিচকর্মীদের সহায়তায় তাকে ফিরে পাই। এজন্য কঙবাজার জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটিসহ বিচকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।

সহকারী সুপারভাইজার মো. বেলাল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সৈকতের তিনটি পয়েন্ট থেকে হারিয়ে যাওয়া ৮ শিশু উদ্ধার করে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিভাবকদের অসাবধানতাবশত প্রতিদিন এ রকম ঘটনা ঘটে। তবে গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হারিয়ে যাওয়া শিশু উদ্ধারের তুলনামূলক সংখ্যা বেশি ছিল।

তিনি বলেন, কঙবাজার সৈকতে বেড়াতে এসে শিশুকিশোরসহ পর্যটকদের মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে যায়। সেগুলো উদ্ধারের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নানা তথ্যউপাত্ত দিয়ে পর্যটকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া গোসল করতে গিয়ে পানিতে ভেসে যায় অনেকে। লাইফগার্ডের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার কাজে আমরা তৎপর থাকি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগ্রেপ্তার এড়াতে ১৬ বছর আত্মগোপনে
পরবর্তী নিবন্ধজাতীয় পথ নাট্যোৎসব উদ্বোধন