কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

রোগী ও স্বজনদের স্বস্তি

এম.এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার | সোমবার , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৫:০০ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ৫ দিনের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আন্দোলনরত চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তাকর্মচারী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্‌উদ্দিন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ এবং সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদার বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত জানান চিকিৎসকরা। গতকাল দুপুর ৩টা থেকে হাসপাতালের সব বিভাগ সচল হয়েছে। চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ড বয়রা। হাসপাতালের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন রোগী ও স্বজনেরা। টেকনাফের হ্নীলা থেকে আসা রোগীর স্বজন ছৈয়দ আলম বলেন, আমরা ৪৫ দিন খুবই কষ্ট পেয়েছি। রোগী নিয়ে এই হাসপাতাল থেকে ওই হাসপাতাল দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। গরীব অসহায় মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করায় এখন শান্তি লাগছে।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতিনিধি শাহ তালাল মাহমুদ দিহান বলেন, কক্সবাজারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আমাদের সাথে বৈঠক করেছেন। ডিসিএসপির হস্তক্ষেপে আমরা ৫ দিনের জন্য কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছি। আমরা চাই চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে। তবে ৫ দিনের মধ্যে আমাদের দাবির অগ্রগতি না হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিন ঞো বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আসেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্‌উদ্দিন ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ। তারা চিকিৎসকদের সাথে বৈঠক করেন। পরে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ডা. সজীব কাজীর উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই আপাতত ৫ দিনের জন্য চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, হাসপাতাল ভাঙচুর ও চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে। তারমধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদেরও শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ফলে রোগী ও স্বজনেরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। তাই মানুষের কষ্ট লাঘবে আমরা চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেছি। তাদের দাবি মোতাবেক হাসপাতালে পুলিশ ও আনসার মোতায়েন থাকবে সার্বক্ষণিক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল টিমও হাসপাতালের নিরাপত্তা দেখবে। একই সাথে হাসপাতাল ও চিকিৎসকের হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডে কনক চাঁপা, আশফাক নিপুণ, নওশাবা
পরবর্তী নিবন্ধভারত সফরে টাইগাররা, নিজেদের শক্তিতে আস্থা শান্তর