দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নবনির্মিত রেললাইনে আগামী ২ নভেম্বর পরীক্ষামূলক ট্রেন (ট্রায়াল রান) চালানো হবে। এই রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর জন্য পটিয়া স্টেশনে গত তিন মাস আগে (কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজের আগে) নিয়ে রাখা ট্রেন দিয়ে হচ্ছে না। কারণ ইঞ্জিনসহ ৬ বগির সমন্বয়ে এই ট্রেনটি ননএসি। ননএসি বগি নিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত বাদ দিয়ে এখন নতুন ইঞ্জিন এবং নতুন এসি বগি দিয়ে আগামী ২ নভেম্বর দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রুটে পরীক্ষা মূলক ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
এই লক্ষ্যে আগামী ১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে একটি নতুন ইঞ্জিন ও ৬টি নতুন কোচের সমন্বয়ে একটি রেক রেডি করে দোহাজারী স্টেশনে প্রস্তুত রাখার জন্য রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলীকে চিঠি দেয়া হয়েছে। গত ২২ অক্টোবর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট–এর পক্ষে সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী এই চিঠি দেন।
চিঠিতে বলা হয়, আগামী ২ নভেম্বর দোহাজারী–কক্সবাজার নব নির্মিত রেল লাইনে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের সময় রেলপথ মন্ত্রী, এমপিসহ রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। এ লক্ষে ট্রায়াল রানের আগের দিন (আগামী ১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে একটি নতুন ইঞ্জিন ও ৬টি নতুন কোচের সমন্বয়ে একটি রেক রেডি করে দোহাজারী স্টেশনে প্রস্তুত রাখার জন্য রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলীকে চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়েছে। এই চিঠির অনুলিপি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এবং ডিআরএমের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
গত ১৬ অক্টোবর কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন আগামী ১২ নভেম্বর দোহাজারী–কক্সবাজার রেললাইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের জন্য সময় দিয়েছেন। এ লক্ষে আগামী ২ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগ থেকে জানা গেছে, ট্রায়াল রানে একটি ইঞ্জিনসহ ৭টি রেকের মধ্যে থাকবে–একটি পাওয়ার কার, একটি খাবার গাড়ি, একটি এসি কেবিন, দুটি ফুল এসি বগি এবং ১টি শোভন চেয়ারের (ননএসি) বগি।
এদিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আগামী ১২ নভেম্বর কক্সবাজারের পথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের কথা রয়েছে। তবে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলবে ২০ থেকে ২৫ নভেম্বর থেকে। কক্সবাজার রুটে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে ছয় জোড়া ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনা আছে। তবে ইঞ্জিন ও বগি সংকটের কারণে এখনই তা হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে। প্রথমে চট্টগ্রাম থেকে দুই জোড়া এবং ঢাকা থেকে এক জোড়া ট্রেন পর্যটন শহর কক্সবাজারে থেকে আসা–যাওয়া করবে। তিনটি ট্রেনই আন্তঃনগর। তবে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি শুধুমাত্র চট্টগ্রাম স্টেশনে দাঁড়াবে। আসন খালি থাকা সাপেক্ষে চট্টগ্রাম থেকে টিকিট বিক্রি করা হবে। ট্রেনটি অন্য কোনও স্টেশনে দাঁড়াবে না। সরাসরি কক্সবাজার যাবে। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো মাঝপথে কয়েকটি স্টেশনে দাঁড়াবে।