চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে নিয়মিত ট্রেনের পাশাপাশি চলবে স্পেশাল ট্যুরিস্ট ট্রেনও। দোহাজারী–কক্সবাজার নতুন রেল লাইন নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। সেই সাথে এগিয়ে চলছে এই রুটে নিয়মিত ট্রেন চালুর পাশাপাশি বিলাস বহুল ট্যুরিস্ট ট্রেন পরিচালনার বিষয়টিও। ইতোমধ্যে রেলমন্ত্রী চট্টগ্রাম সফরকালে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট ট্রেন (ঢাকা–কক্সবাজার রুটে) চালুর উদ্যোগের বিষয়টি।
রেল ভবনের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী জানান, দোহাজারী–কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গেই যেন ট্যুরিস্ট কোচ চালু করা যায় এজন্য আগেভাগে বিষয়টি নিয়ে এগোতে চাইছে রেল মন্ত্রণালয়। ট্যুরিস্ট কোচ আমদানির জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ৫৪ ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ আমদানি প্রকল্পের আওতায় বিলাসবহুল ৫৪টি ট্যুরিস্ট কোচ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ৫৪টি কোচের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪১ কোটি ৫১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। প্রতিটি ট্যুরিস্ট কোচ আমদানিতে খরচ পড়বে ৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এগুলো স্পেশাল কোচ। এই কোচ গুলোর চারিদিকে থাকবে গ্লাস। উপরে ছাদ থাকবে না। এজন্য এই কোচগুলোর দাম সাধারণ কোচের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। প্রকল্পের প্রস্তাবটি রেল মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এখন যেসব আধুনিক মিটার গেজ ও ব্রড গেজ কোচ আমদানি করা হচ্ছে সেগুলোতে ব্যয় হচ্ছে ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকার মতো। এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মফিজুর রহমান আজাদীকে জানান, দোহাজারী–কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ হয়ে যাওয়ার পর প্রাথমিকভাবে সাধারণ ট্রেন দিয়ে পথটি সচল রাখা হবে। আমরা নিয়মিত ট্রেনের পাশাপাশি ট্যুরিস্ট ট্রেনও চালাবো। এই ব্যাপারে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রথমে মিটার গেজ ট্রেন চালাবো। আমাদের নতুন নতুন উন্নতমানের কোচ আমদানি করা হচ্ছে। এখান থেকে আধুনিক–উন্নতমানের কোচ দিয়ে ট্রেন চালানো হবে। এর মধ্যে ট্যুরিস্ট কোচ এসে গেলে স্পেশাল ট্রেন হিসেবে ট্যুরিস্ট ট্রেনও চালু করা হবে। বিদেশী পর্যটকদের পাশাপাশি দেশীয় পর্যটকরাও বুকিং দিয়ে ট্যুরিস্ট ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে।
জানা গেছে, দোহাজারী–কক্সবাজার রেল লাইন নির্মাণ হয়ে গেলে এই সময়ের মধ্যে যদি কালুরঘাট সেতুর কাজ না হয়–তাহলে কালুরঘাট সেতুটি নতুনভাবে মেরামত করে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানো হবে।