কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী ডিসি সাহেবের বলী খেলায় টানা দ্বিতীয় বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার হোমনা উপজেলার মণিপুর গ্রামের বাঘা শরীফ বলী। গতকাল শনিবার বিকেলে কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বলী খেলার ৬৯তম আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয় বাঘা শরীফ বলী ও কক্সবাজারের মহেশখালীর হোয়ানক ছনখোলা পাড়ার শাহেদ হোসেন কালু বলী। এর আগে ১ নম্বর মেডেলের বাছাইয়ের প্রথম খেলায় মহেশখালীর শফি বলীকে পরাজিত করে ১ নম্বর মেডেলের ফাইনাল খেলার টিকিট নিশ্চিত করেন শরীফ বলী। ওই মেডেলের দ্বিতীয় বাছাইয়ে কুমিল্লা সদরের রাশেদ মালকে পরাজিত করে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেন মহেশখালীর কালু বলী। ফাইনালে ৮ মিনিট লড়াইয়ের পর বাঘা শরীফের কাছে হার মানতে হয় কালু বলীকে । এ আসরের ২ নম্বর মেডেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মহেশখালীর মোহাম্মদ হোসেন বলী। ৩ নম্বর মেডেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মহেশখালীর শফি উল্লাহ বলী। গত বছর বলীখেলার ৬৮তম আসরে টানা চল্লিশ মিনিটেও কেউ কাউকে কুপোকাত করতে না পারায় কুমিল্লার বাঘা শরীফ ও কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার নুর মোহাম্মদ বলীকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। বলী খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। এসময় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দীন ও খেলা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন কবিরসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। বলী খেলার আসরে চ্যাম্পিয়ন বাঘা শরীফ বলীকে ২৫ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও ট্রফি, রানার আপ কালু বলীকে ১৫ হাজার টাকা ও ট্রফি দেয়া হয়। ২ নম্বর মেডেলে চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ হোসেন বলীকে ১২ হাজার টাকা প্রাইজ মানি, ট্রফি, রানার আপ লালু বলীকে ৮ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও ট্রফি দেয়া হয়। ৩ নম্বর মেডেলে চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ শফি উল্লাহ বলীকে ১০ হাজার টাকা প্রাইজমানি, ট্রফি এবং রানার আপ আমিন বলীকে ৭ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও ট্রফি দেয়া হয়।