ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ও ১৫৩টি কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সদর, চকরিয়া, পেকুয়া এবং টেকনাফ উপজেলার কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ উপচে সাগরে পানি ঢুকে তলিয়ে যায় লোকালয়।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গত দুদিন ধরে সাগরে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়।
জোয়ারের পানির তোড়ে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, কুতুবদিয়া, সদর উপজেলার ভারুয়াখালী, মহেশখালী উপজেলার সিকদার পাড়া, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা এলাকায় কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। জেলায় মোট ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে পাউবো জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরারটেক, কুতুবদিয়াপাড়া, সমিতিপাড়া, ফদনার ডেইল, নুনিয়ারছড়া, পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ও রাজাখালী, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলার কয়েকটি গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জোয়ারের তোড়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপের কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
কঙবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালে জেলার উপকূলীয় এলাকায় ১৫৩টি কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মহেশখালীতে গাছ পড়ে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। দুর্গত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৬৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে