কক্সবাজারে ৪ আসনে ৩৪ প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ

সবচেয়ে বেশি ১৩ জন চকরিয়া-পেকুয়ায়

কক্সবাজার প্রতিনিধি | বুধবার , ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ at ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ

আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত কঙবাজারে ৪টি আসনে ৩৪ জন দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এরমধ্যে বর্তমান এক এমপিসহ মনোনয়ন বঞ্চিত ৬ আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। শেষ সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগের আরো নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে আসতে পারেন বলে অনেকের ধারণা।

কক্সবাজার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত কক্সবাজারে চারটি আসনে ৩৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তার মধ্যে কঙবাজার(চকরিয়াপেকুয়া) আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৩ জন, কঙবাজার(মহেশখালীকুতুবদিয়া) আসন থেকে ৫ জন, কঙবাজার(সদররামুঈদগাঁও) আসন থেকে ৯ জন এবং কঙবাজার(উখিয়াটেকনাফ) আসন থেকে ৭ জন।

কঙবাজার(চকরিয়াপেকুয়া) আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারী ১৩ জন হলেনআওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, জাতীয় পার্টিজেপির এএইচ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, ওয়ার্কার্স পাটির হাজী বশিরুল আলম, তৃণমূল বিএনপির চৌধুরী আকতার নুর, জাতীয় পার্টির (জাপা) খোসনে আরা, ইসলামিক ফ্রন্টের মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম, চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারমান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল করিম সাঈদী, পেকুয়ার এএইচএম হেলাল উদ্দিন, চকরিয়ার শফিকুর রহমান ও শাহনেওয়াজ চৌধুরী।

কঙবাজার(মহেশখালীকুতুদিয়া) আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারীরা হলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনএনএফ) মাহাবুবুল আলম, জাকের পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াছ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মহেশখালীর আবু কাউছার ও কুতুবদিয়ার মো. সরওয়ার আলম। এছাড়াও এ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে বিএনএমএ যোগদান করেছেন। তবে তিনি এখনো মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। তাছাড়াও আসনটি থেকে জাতীয় পার্টি (জাপা) প্রার্থী হিসেবে মাহমুদুল করিমের নাম ঘোষণা হলেও তিনিও মঙ্গলবার পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালারমারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ আসনটি থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তিনিও এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করেননি মনোনয়নপত্র।

কঙবাজার(সদররামুঈদগাঁও) আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারী ৯ জন হলেনআওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ সানা উল্লাহ, জাতীয় পার্টির (জাপা) মোহাম্মদ তারেক, বিএনএফ প্রার্থী মোহাম্মদ ইব্রাহিম, লিবারেল ইসলামিক জোটের প্রার্থী নুরুল আলম, কল্যাণ পার্টির আবদুল আওয়াল মামুন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির শামীম আহসান, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ও আবদুল মজিদ।

এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত রামু উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি কমলের ভাই সোহেল সরওয়ার কাজল স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। একইভাবে জাসদ থেকে জেলা সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুলকে মনোনয়ন দেয়া হলেও তিনিও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি।

কঙবাজার(উখিয়াটেকনাফ) আসনে মনোনয়নপত্র নেয়া ৭ জন হলেনআওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির স্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহিন আকতার, এনএনএফ প্রার্থী ফরিদ আলম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল আমিন সিকদার ভূট্টো, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী তাহা ইয়াহিয়া, তৃণমূল বিএনপির মুজিবুল হক মুজিব এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত কঙবাজার জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর ও সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদিকে পিতা দাবি করে আদালতে মামলা দায়েরকারী মোহাম্মদ ইসহাক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম-৮ আসনে জাপার প্রার্থী পরিবর্তন
পরবর্তী নিবন্ধজিপিএইচ ইস্পাত ও এবিসি রিয়েল এস্টেটসের চুক্তি