কক্সবাজার জেলার ১৫৩ জন মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট লেখক ও বুদ্ধিজীবী ড. সলিমউল্লাহ খান, সাবেক এমপি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং জাপার (মঞ্জু) প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির নাম। তালিকায় রয়েছেন কক্সবাজার সদরের ৩৮ জন, চকরিয়ার ৩৬ জন, কুতুবদিয়ার ৭ জন, উখিয়ার ২১ জন, মহেশখালীর ৯ জন, পেকুয়ার ১৭ জন, রামুর ২৪ জন এবং টেকনাফের ১ জনের নাম। গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) অনুমোদন ছাড়াই যেসব মুক্তিযোদ্ধা সরাসরি মন্ত্রণালয় থেকে সনদ নিয়েছিলেন মূলত সেই সব মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই করা হচ্ছে। আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হবে। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য উপজেলা ওয়ারি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে।
এইসব মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব তথ্য দিতে হবে : পিতা-মাতাসহ নিজ নাম, বেসামরিক গেজেট নম্বর, জন্ম তারিখ, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সময়কাল, মুক্তিযুদ্ধের আগেকার ভূমিকা, প্রশিক্ষণ গ্রহণের স্থান, অস্ত্র পরিচালনা সংক্রান্ত তথ্য, কী কী অস্ত্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা এবং তারিখ, কোন কোন জায়গায় সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, যুদ্ধকালীন কমান্ডারের নাম, সেকশন কোম্পানি প্লাটুন কমান্ডার কে ছিলেন, কোথায় কী ধরনের অস্ত্র সমর্পণ করেছেন, সেক্টর ও কমান্ডারের নাম, ভারতে ট্রেনিংরত অবস্থায় দেশ স্বাধীন হলে পরবর্তী ভূমিকা কী ছিল। ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তায় নাম রয়েছে এমন তিন জন সহযোদ্ধার প্রত্যয়ন ইত্যাদি। তবে যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তা বা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩৩টি প্রমাণের মধ্যে রয়েছে, তারা যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় পড়বেন না। তাদের নাম জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে যাচাই-বাছাইয়ের তালিকায় প্রকাশ হলেও তা যাচাই-বাছাই না করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।