কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর তীরে গড়ে উঠে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে বাধাদান ও হামলার অভিযোগে ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা এক হাজার জনকে আসামি করে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের পোর্ট অফিসার মো. আব্দুল ওয়াকিল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মনির উদ্দিনকে (৪৩)। এছাড়া রাজনৈতিক নেতা, আইনজীবী ও ব্যবসায়িসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষকেও আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে তিনটি মামলায় এক হাজার ৬৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, বাঁকখালী নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের পঞ্চম দিন শুক্রবার সকাল থেকে নুনিয়ারছড়া ও নতুন বাহারছড়ার অংশে কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা ছিল বিআইডব্লিউটিএ সহ প্রশাসনের। এর জন্য বুলডোজার নিয়ে ওই এলাকায় যাওয়ার চেষ্টাও করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা এগিয়ে গেলেও যেতে পারেননি বেশি দূর। এর আগেই সকালে শহরের প্রধান সড়কের পাশাপাশি বিমানবন্দর সড়কে নেমে আসে শত শত স্থানীয় জনতা। শুরু করে বিক্ষোভ, ৪ রাস্তার মোড়ে দেয়া হয় ব্যারিকেড। এ সময় বুলডোজার ভাংচুর করা হয়।
এ ব্যাপারে ওসি বলেন, রোববার দুপুরে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১ হাজার জনকে আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করেন। পরে পুলিশ এজাহারটি নথিভূক্ত করেছে।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা এবং উচ্ছেদ অভিযানে বাধাদানের ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়। পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় দিন প্রতিবন্ধকতায় কার্যক্রম পণ্ড হলেও এ ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।