কারান্তরীণ সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমকে আদালতে তোলার প্রাক্কালে কক্সবাজারের চকরিয়ায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের পর জেলাজুড়ে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছে পুলিশ। এই অভিযানে বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ নেতাসহ ৬০জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য জানান।
আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন, রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম মন্ডল, রাজারকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, চাকমারকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ফতেখারকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মেম্বার আবু তাহের টুনু, উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসাইন মিথুন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম মনজুর, সিনিয়র সদস্য ও সাবেক মেম্বার সিরাজুল বশর, দানু মিয়া চৌধুরী, জালিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল মনজুর, আওয়ামী লীগ নেতা রিদুয়ান ইসলাম, চকরিয়া যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জামান অহিদ, পেকুয়ায় সাবেক এমপি জাফর আলমের ভাগিনা হাসান আল বশির, আওয়ামী লীগ নেতা নুর মোহাম্মদ মাদু মেম্বার, মগনামা নুন্যার পাড়ার মোস্তাক মিয়া, মহেশখালীর যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন, এমপি আশেকের ঘনিষ্ট সহচর সাদ্দাম, আওয়ামী লীগ নেতা মফিজ মেম্বার, সিরাজ মেম্বার, কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন এবং লেমশীখালী ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক নুরুল আমিন। এছাড়া, কঙবাজার সদর উপজেলায় পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরানসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করা রয়েছে।
কঙবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিকেল পর্যন্ত ৬০জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের সবাইকে বিকেলের দিকে আদালতের নির্দেশক্রমে কারাগারে পাঠানো হয়। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’