কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এক নারীকে অপহরণের পর হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
গতকাল রবিবার ট্যুরিস্ট পুলিশের হাতে গ্রেফতার তিন আসামি রেজাউল করিম, মামুনুর রশীদ ও মেহেদী হাসানকে আজ সোমবার কক্সবাজার সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেছিল পুলিশ।
তারা ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগী ছিল বলে দাবি পুলিশের।
এই মামলায় ঘটনার রাতে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর হাতে গ্রেফতার জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার ছোটন গত শনিবার থেকে চারদিনের রিমান্ডে রয়েছে।
তাকে ট্যুরিস্ট পুলিশ কার্যালয়ে আজ সোমবার তৃতীয় দিনের মতো রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
রিমান্ড শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানায় ট্যুরিস্ট পুলিশ।
অন্যদিকে, এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক রবিবার মাদারীপুরে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হলেও আজ সোমবার রাত ৯টা পর্যন্ত তাকে কক্সবাজারে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়নি। তবে গভীর রাতে অথবা মঙ্গলবার তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে আশা করছে তদন্তকারী সংস্থা ট্যুরিস্ট পুলিশ।
পর্যটক দাবিদার এক নারী দাবি করেছেন, গত বুধবার(২২ ডিসেম্বর) রাতে শহরের সন্ত্রাসী আশিক তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে র্যাব অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের হোটেল জিয়া গেস্ট ইন থেকে তাকে উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে ওই নারীর স্বামী মামুন মিয়া বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মোট সাতজনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ।
আলোচিত এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলো আশিকুর ইসলাম আশিক, ইস্রাফিল হুদা ওরফে জয়, মেহেদী হাসান ওরফে বাবু এবং রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।
তাদের মধ্যে ঘটনার রাতেই (বুধবার দিবাগত রাত) জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে এবং প্রধান অভিযুক্ত আশিককে রবিবার মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এছাড়া রবিবার ট্যুরিস্ট পুলিশ রেজাউল করিম, মামুনুর রশীদ ও মেহেদী হাসান নামের আরো তিনজনকে এ মামলায় গ্রেফতার করে।