কক্সবাজারে শিক্ষকদের মেধা সম্পদ সুরক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সেমিনার

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য আইপি পলিসি প্রণয়ন করবে ইউজিসি

কক্সবাজার প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১ জুলাই, ২০২৫ at ১:০৮ অপরাহ্ণ

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মেধা সম্পদ সুরক্ষা ও গবেষণার মানকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণে পলিসি প্রণয়ন করবেন জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য শিক্ষকদের মেধা সম্পদ সুরক্ষা অধিকারের গুরুত্ব অত্যধিক। এখন সময় এসেছে এই বিষয়ে আমাদের অত্যন্ত গভীরভাবে ভাবতে হবে। না হলে মেধা সম্পদ অরক্ষিত হয়ে যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মেধাসত্ত্ব অধিকার নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব এবং এই বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ ও আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্সবাজারে অবস্থিত কোস্টাল বায়োডাইভারসিটি, মেরিন ফিসারিস ও ওয়াইল্ডলাইফ রিসার্চ সেন্টারে রোববার এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আরেক সদস্য প্রফেসর ড. মাসুমা হাবিব, চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ নাজিম উদ্দিন, কমিশনের সচিব ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম এবং কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক ড. মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া। কমিশনের স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং এন্ড কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স বিভাগের পরিচালক ড. দুর্গা রানী সরকারের সভাপতিত্বে ও কমিশনের স্ট্রাটিজিক প্ল্যানিং এন্ড কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স বিভাগের উপ-পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনির উল্লাহ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন একই বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আকরাম আলী খান এবং সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ মোস্তাক আহমেদ। এতে দেশের ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ অংশ নেন। তারা তাদের তৈরি করা বিভিন্ন প্রজেক্টের চিত্র তুলে ধরেন এবং মেধাসত্ত্ব রক্ষার জন্য ইউজিসির প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন তার বক্তৃতায় ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস এর গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা করেন । ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি একাডেমিয়াতে গ্যাপ হয়ে যাচ্ছে কিনা সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। পলিসি, সংস্কৃতি-সভ্যতার ঐতিহাসিক মেলবন্ধন বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন। কমিশনে অংশগ্রহণকারীগনের আলোচনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন।

ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি বিষয়ে কমিশন থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি পলিসি তৈরির কথা উল্লেখ করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে কমিশনের মাননীয় সদস্য প্রফেসর ড. মাসুমা হাবিব তার বক্তৃতায় প্যাটেন্ট অ্যাওয়ার্ড, ইনোভেশন হাব, ইনোভেশন এক্সিবিশন, আইনজীবী পুল ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় বিয়ের প্রলোভনে এসএসসির ফল প্রত্যাশীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধপাহাড় কাটার অপরাধে ইটভাটা মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা