কক্সবাজারে মহাসড়কে পশুর হাট, যানজটে ভোগান্তি

শাহেদ মিজান, কক্সবাজার | বৃহস্পতিবার , ৫ জুন, ২০২৫ at ৬:০২ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারে কোরবানির পশুর হাট শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে। কোরবানির সময় ঘনিয়ে আসায় বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কোরবানির পশু কিনতে হাটে ছুটছেন ক্রেতারা। কিন্তু মহাসড়কের উপর পশুর হাট বসার কারণে বিভ্রাট বেড়েছে। যানজট নিরসনে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে ঈদে ঘরমুখী মানুষ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, জেলার বিভিন্ন স্থানে হাটবাজার ইজারার নীতিমালা মানছে না অনেকেই। ইজারাদাররা তাদের ইচ্ছে মতো টোল আদায় করছে।

গতকাল বুধবার সরজমিনে দেখা গেছে, কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া, কাটির মাথা ও মরিচ্যা, ঈদগাঁও, কলঘর এলাকায় মহাসড়কের ওপর পশুর হাটে বসানোর কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। এসব এলাকার সড়কের উভয় পাশে আটকা পড়ে শতশত যানবাহন। বাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোরবানির পশু বেচাকেনা কয়েকদিন আগে শুরু হলেও বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ক্রেতারা বাজারে আসতে পারেনি। শেষ মুহূর্তে একযোগে সবাই বাজারে আসায় মাত্রারিক্ত ভিড় বেড়েছে। এতে যানজট তীব্র হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র বলছে, কঙবাজার জেলায় ৯৪টি পশুর হাট বসছে। এরমধ্যে স্থায়ী বাজার ৪৮টি, কোরবান উপলক্ষে ৪৬টি। উপজেলাভিত্তিক অনুমোদিত বাজারের সংখ্যা সদরে ১৪টি, রামুতে ১৩টি, চকরিয়ায় ১৬টি, পেকুয়ায় ৮টি, উখিয়ায় ৮টি, টেকনাফে ৭টি, মহেশখালীতে ৬টি ও কুতুবদিয়ায় ৬টি রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার বসে বেশিভাগ পশুর হাট। হাটের ভেতরে জায়গা স্বল্পতার জন্য প্রায় পুরো মহাসড়ক দখল করে চলে পশু বেচাকেনা। যার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এ অবস্থায় যানবাহন চলাচলে যেমন ভোগান্তি বাড়ছে, তেমনি দুর্ভোগ বাড়ছে স্থানীয়দের। কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোস্তফা মুন্সী বলেন, মহাসড়কের উপর পশুর হাট নিয়ে জেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সভায় একাধিকবার উপস্থাপন করা হয়েছে। তবুও কোন ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। তিনি বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠিও দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী মহাসড়কের উপর পশুর হাট বসানোর সত্যাতা নিশ্চিত করে বলেন, ওইসব পশুর হাটগুলো দীর্ঘদিনের। তবুও বাজারগুলো সরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, যেসব এলাকায় সড়কের উপর পশুর হাট রয়েছে, স্ব স্ব এলাকার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা পশুর হাটে যানজট নিরসনসহ অপরাধ নির্মূলে কাজ করছে। এছাড়া জালনোট শনাক্তেও প্রতিটি পশুর হাটে পুলিশের আলাদা টিম কাজ করছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক রুবাইয়া আফরোজ বলেন, হাটবাজার ইজারার শর্তেই উল্লেখ আছে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে হাট বসানো যাবে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনওদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। তারা ব্যবস্থা নিবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগুমে প্রধান ভূমিকা ছিল র‌্যাবের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের : প্রেস সচিব
পরবর্তী নিবন্ধঅন্তর্ভুক্তি মানে রাজনৈতিক দলের নয়, জনগণের : গোয়েন লুইস