কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

কক্সবাজার প্রতিনিধি | শনিবার , ৩ আগস্ট, ২০২৪ at ১০:২০ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কমতে শুরু করেছে পানি। পানি কমলেও ভেসে উঠছে ক্ষত চিহ্ন। তবে নতুন করে আরও কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের তোড়ে মাতামুহুরি ও বাকখালী নদীর কমপক্ষে ১০টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে ঢলের পানি ঢুকে এসব এলাকা প্লাবিত হয়। ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে বীজতলা। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে গ্রামীণ রাস্তার। প্লাবিত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

গতকাল শুক্রবার উখিয়ায় বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। বন্যা কবলিত এলাকার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৪৭ মে. টন চাল ও নগদ ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জেলার ২৪টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তবে পানি কমে যাওয়ায় দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হচ্ছে। প্লাবিত এলাকার জন্য প্রাথমিকভাবে ৪৭ মে. টন চাল ও নগদ ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি অবনতি হলে ৬৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্র ও পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, এবারের বন্যায় উখিয়ার অধিকাংশ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। বর্তমানে বন্যার পানি কমছে। কিন্তু ফুটে ওঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। ইতোমধ্যে প্লাবিত এলাকায় বরাদ্দ দেওয়া শুরু হয়েছে।

কঙবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান দৈনিক আজাদীকে জানিয়েছেন, সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারের পানিতে যেসব এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে, সেসব এলাকায় ত্রাণসহায়তা পাঠানো হয়েছে। স্ব স্ব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। এখনো বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পুরো চিত্র নিরূপণ করা যায়নি। তবে কাজ চলমান রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিম গাছের সাথে এ কেমন শক্রতা
পরবর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে বিলে মাছ ধরতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু