হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম মেম্বার (৩৬)। গতকাল রবিবার ভোরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। মৃত রেজাউল করিম প্রকাশ রেজা হ্নীলা দরগাহপাড়ার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আলী জানান, রেজাউল করিম টেকনাফের আলোচিত সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুস হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি ছিলেন। গত ৩ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার ইউনিয়ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস জানান, ইউপি সদস্য রেজাউল করিম নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। র্যাব তাকে হাসপাতাল থেকেই আটক করেছিল এবং সেই থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে তার শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে গেলে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
র্যাব–১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার আ.ম. ফারুক জানান, গত ৪ নভেম্বর স্থানীয় মো. আলমের দক্ষিণ ফুলের ডেইল বাড়িতে মো. ইউনূস মেম্বারসহ আরো ১০ থেকে ১১ জন দাওয়াত খেতে যায়। দাওয়াত খাওয়া অবস্থায় একপর্যায়ে পূর্ব বিরোধিতার জের ধরে উপস্থিত সদস্যরা ইউনূস সিকদারকে আটকে রেখে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে ৬০–৭০ লাখ টাকা দাবি করে। ৫ নভেম্বর সকালে ভুক্তভোগী মো. ইউনূস মেম্বারকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রঙ্গীখালী এলাকায় কক্সবাজার–টেকনাফ সড়কের ব্রিজের নিচে তার মৃতদেহ খুঁজে পায়। পরে ৬ নভেম্বর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ৮ জনকে এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় রেজাউল করিমকেও আসামি করা হয়। এর অংশ হিসেবে ৩ ডিসেম্বর রাতে র্যাবের একটি দল কক্সবাজারের ইউনিয়ন হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে রেজাউল করিম প্রকাশ রেজাকে হাসপাতালের বেড থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।












