আজাদী ডেস্ক ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র প্রভাবে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় অঞ্চল আনোয়ারা, বাঁশখালী, মহেশখালী, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন প্রভৃতি এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়ায় উপড়ে পড়েছে অনেক গাছ, ভেঙে গেছে কাঁচা বসতবাড়ি। সেই সাথে বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারে তলিয়ে গেছে অনেক নিম্নাঞ্চল। এতে কৃষকের মাঠের ফসল ও মৎস্য ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কক্সবাজারের মাতারবাড়ি–কুতুবদিয়া–টেকনাফ–সেন্টমার্টিনে সাগরের পানিতে শতাধিক গ্রাম তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মহেশখালীতে অন্তত ৫০টি বাড়িঘর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময় পানিতে ডুবে মারা গেছে দানু মিয়া (৪২) নামের এক মৃগী রোগী। বাঁশখালী উপকূলের খানখানাবাদ, সাধনপুর, পুকুরিয়া, বাহারছড়া, সরল, গন্ডামারা, ছনুয়াসহ বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। দৈনিক আজাদীর মহেশখালী, বাঁশখালী, আনোয়ারা ও কক্সবাজার প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদন।
কক্সবাজার : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছে। এতে মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও টেকনাফে শতাধিক গ্রাম তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেন্টমার্টিনের নিচু এলাকা জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে। সাগরের প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে মেরিন ড্রাইভ সড়কের কয়েকটি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসে সব নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছিল বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। অন্যদিকে সাগর উত্তাল থাকায় তিনদিন ধরে টেকনাফ–সেন্টমার্টিন নৌ–রুট এবং গতকাল সকাল থেকে কক্সবাজার–মহেশখালী নৌ–রুট ও পেকুয়ার মগনামা–কুতুবদিয়া নৌ–রুটে যান চলাচল বন্ধ রাখে প্রশাসন।
সেন্টমার্টিনের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম জানান, ৫ ফুট পর্যন্ত জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বীপের গলাচিপা, কোনাপাড়া, দক্ষিণপাড়া তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া মাছ ধরার ৫টি ট্রলার জোয়ারের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানিয়েছেন, জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ৫ ফুট সাগরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের সব নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে সাগর ব্যাপক উত্তাল থাকায় তিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে টেকনাফ–সেন্টমার্টিন নৌ–যোগাযোগ। এতে মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে দ্বীপের বাসিন্দারা। তাতে বাসিন্দারা খাদ্য সংকটে পড়েছে।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যথোয়াইপ্রু মারমা জানান, উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কাহার পাড়া, কাজীর পাড়া, তেলিপাড়া, হায়দার পাড়া, আনিচের ডেইল, জেলেপাড়া ও বায়ু বিদ্যুৎ সংলগ্ন এলাকাসহ বিভিন্ন ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেড়ে যাওয়ায় বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ে সৈকতের ঝাউবাগান ও জিও ব্যাগের ওপর। ঢেউয়ের তোড়ে উপড়ে পড়েছে অনেক ঝাউগাছ। প্রবল ঢেউ জিও ব্যাগ ডিঙিয়ে ঢুকে পড়ছে ঝাউগাছের ভেতরে। এছাড়া কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ জলোচ্ছ্বাসে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত তলিয়ে যায়। এতে অনেক বসতবাড়ি পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে মোট ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তিনি জানান, নিম্নচাপটি সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম করে। তবে আজও প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধসের ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।
সার্বিক প্রসঙ্গে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, জলোচ্ছ্বাসে জেলার যে সব উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত সেখানে প্রয়োজনীয় সহায়তা জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলে দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সমন্বয় করছে। জেলা প্রশাসন সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
মহেশখালী : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ৫০টি বাড়িঘর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময় পানিতে ডুবে মারা গেছে দানু মিয়া (৪২) নামের এক মৃগী রোগী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি দুপুর নাগাদ বাড়তে থাকে এবং স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়া জোয়ারের পানির তোড়ে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার কুতুবজোম, মাতারবাড়ির সাইরার ডেইল, ধলঘাটা, ছোট মহেশখালী ও মহেশখালী পৌরসভার চর পাড়ার নিম্নাঞ্চল। বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে রাস্তাঘাট, দোকানপাট ও শতাধিক ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে যায়। দমকা হাওয়া জনিত কারণে সাগর উত্তাল থাকায় মহেশখালী–কক্সবাজার নৌ–রুটে দুপুর থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যাত্রীবাহী সি ট্রাকসহ সকল প্রকার নৌযান।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙা এলাকায় দানু মিয়া (৪২) নামের এক ব্যক্তি জোয়ারের পানিতে ডুবে মারা যান। পরিবার জানায়, দানু মিয়া মৃগী রোগে ভুগছিলেন। জোয়ারের পানি ডিঙিয়ে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। দ্রুত উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে উপজেলার ছোট মহেশখালী, কুতুবজোম, মাতারবাড়ির জালিয়াপাড়া ও ধলঘাটা ঘুরে দেখা গেছে, নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হওয়ায় বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে বাড়িঘর প্লাবিত হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ছোট মহেশখালীর মূল সড়ক। এদিকে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সকাল ১১টা থেকে মহেশখালী–কক্সবাজার নৌরুটে সি–ট্রাক চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের সাগর তীরবর্তী এলাকাগুলোর মানুষজনকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেদায়েত উল্যাহ জানান, উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে, বেশ কিছু বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং দুর্যোগ পরবর্তী সহায়তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে প্রশাসন।
আনোয়ারা : ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র প্রভাবে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে শক্সখ নদের জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩–৪ মিটার বেড়ে গত দুই দিন ধরে বেড়িবাঁধ ভেঙে আনোয়ারার জুঁইদন্ডি ইউনিয়নে জোয়ারের পানি উঠানামা করছে। এতে কৃষকের মাঠের ফসল ও মৎস্যঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ঝুঁকিতে রয়েছে স্থানীয়দের কয়েক শতাধিক বসতবাড়ি। যেকোনো মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। এতে ভাঙনের আতংকে এলাকার ১০ হাজারের বেশি মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শাহীদ, উপ–বিভাগীয় প্রকৌশলী বর্ণ হক ও উপ–সহকারী প্রকৌশলী মিজানুল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ বসানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের মাঝির ঘাট থেকে নাপিত খাল পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের এক থেকে দুই ফুট মাটি ছাড়া পুরো বাঁধ ভাঙনে তলিয়ে গেছে। এতে বাঁধটি পুরোপুরি অরক্ষিত হয়ে পড়ে। যার কারণে অব্যাহত নদী ভাঙনে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। তাছাড়া রব্বাত মিয়ার বাড়ি থেকে মৌলি বাজার পর্যন্ত ১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের অস্তিত্ব নেই। বর্তমান ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নাপিত খাল এলাকায় ৩০–৪০ ফুট বেড়িবাঁধ শক্সখ নদে তলিয়ে জোয়ারের পানি এলাকায় উঠানামা করছে। এর ফলে এলাকার বেশ কিছু ফসলের মাঠ, পুকুর ডোবা মৎস্য ঘের পানিতে ডুবে স্থানীয়দের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে অব্যাহত নদী ভাঙনের কারণে হুমকিতে আছে এলাকার কয়েক শত পরিবার।
জুইদন্ডি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোরশেদুল রহমান চৌধুরী খোকা জানান, নিম্নচাপের কারণে গত দুই দিন ধরে বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকায় জোয়ারের পানি উঠানামা করছে। ফলে ঝুঁকিতে পড়েছে স্থানীয়দের বসতঘর, ফসলের মাঠ, পুকুর ও মৎস্য ঘের। অতি দ্রুত সরকারের কাছে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শাহীদ জানান, বর্তমানে জুঁইদন্ডি ইউনিয়নে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২.৪ কিলোমিটার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে কাজ শুরু হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সৃষ্ট নিম্ন চাপের প্রভাবে জুইদন্ডি ইউনিয়নের নাপিত খাল এলাকায় সাঙ্গু নদের জোয়ারের পানি বেড়ে বেড়িবাঁধের কিছু অংশ তলিয়ে গেছে। উক্ত ভাঙন এলাকা আমরা পরিদর্শ করেছি। ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ বসানোর কাজ শুরু করেছে নৌবাহিনী।
বাঁশখালী : ঝড়ো হাওয়ার ফলে বাঁশখালী উপকূলের খানখানাবাদ, সাধনপুর, পুকুরিয়া, বাহারছড়া, সরল, গন্ডামারা, ছনুয়াসহ বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ উপচে পড়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে একদিকে জনবসতি, অপরদিকে ফসলি জমি ও ক্ষেত খামার ক্ষতির মুখে পড়েছে।
খানখানাবাদ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম সিকদার বলেন, বর্তমানে বেড়িবাঁধ উপচে আমার ইউনিয়নের খানখানাবাদ, কদমরসুল ও সন্দীপিপাড়াসহ নানা স্থান প্লাবিত হয়েছে। জনগণ আতংকে আছে, বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কেএম সালাহ উদ্দিন কামাল বলেন, অতিবৃষ্টি এবং সাগরের জোয়ারের প্রভাবে ইউনিয়নের রাতা গ্রামের কৈবর্ত্ত্য পাড়ার প্রায় ৫০টি পরিবারে পানি প্রবেশসহ বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে বলে তিনি জানান। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখাসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এদিকে গতকাল দুপুরে বাঁশখালীর প্রধান সড়কের কালীপুর ইউনিয়নের গুনাগরীতে গাছ উপড়ে পড়ে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ ছিল। প্রচণ্ড বাতাস ও ঝড়ো হাওয়ায় কালীপুর ইউনিয়নের গুনাগরী এলাকার কোকদন্ডী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ৩টি গাছ ঝড়ের আঘাতে গোড়া থেকে উপড়ে রাস্তার উপর পড়ে। ফলে বাঁশখালীর প্রধান সড়কের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে কোকদন্ডী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন ভূঁইয়াসহ স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় রাস্তা থেকে গাছ অপসারণ করা হলে যান চলাচল আবারো স্বাভাবিক হয়।
অটোরিকশা চালক হেলাল উদ্দিন বলেন, ভূমি অফিসের রাস্তার পাশে বিশাল বিশাল গাছগুলো কেটে ফেলা প্রয়োজন, না হয় আবারো যে কোনো সময় গাছ ভেঙে পড়ে যান মালের ক্ষতি হতে পারে।