কক্সবাজারে পাড়ায়–মহল্লায় আশংকাজনক হারে বাড়ছে কিশোর গ্যাং এর উৎপাত। দিনের বেলায় ইভটিজিং, রাতের বেলায় মদ খেয়ে মাতলামী, দোকানে বিনে পয়সায় চা–সিগারেট; বাধা দিলেই হামলে পড়ে তারা। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শহরের সমুদ্র তীরবর্তী গ্রাম সমিতিপাড়ায় মাদকাসক্ত কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছে এক কিশোর।
স্থানীয়রা জানান, কক্সবাজার শহরের ১ নং ওয়ার্ডের সমিতি সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া, ফদনারডেইল, ২নং ওয়ার্ডের ঠুইট্টাপাড়া, উত্তর নূনিয়াছড়া, ৩নং ওয়ার্ডের বিমানবন্দর সড়ক, ৪নং ওয়ার্ডের পেশকারপাড়া, ৫ নং ওয়ার্ডের গরুর হালদা ও সাহিত্যিকাপল্লী, ৭ নংওয়ার্ডের বাদশা ঘোনা, ফাতের ঘোনা, ৮ নং ওয়ার্ডের বার্মিজ মার্কেট, গোলদীঘিরপাড় ও ক্যাং এলাকা, ৯নং ওয়ার্ডের মোহাজেরপাড়া এবং ১২ নং ওয়ার্ডের সৈকতপাড়া, লাইটহাউসপাড়া, কলাতলী ছাড়াও শহরসংলগ্ন দরিয়ানগর, ঝিলংজা, বাস টার্মিনাল এলাকায় কিশোর গ্যাং এর উৎপাত সবচেয়ে বেশি। গত বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে শহরের সমুদ্র তীরবর্তী গ্রাম সমিতিপাড়ায় মাদকাসক্ত কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছে আলাউদ্দিন (১৫) নামের আরেক কিশোর। সে সমিতি পাড়ার মো. ইমরানের ছেলে।
নিহতের বাবা ইমরান হোসেন জানান, কুতুবদিয়া পাড়ার কয়েকজন মিলে তার ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকতার কামাল জানান, নিহত কিশোর আলাউদ্দিনের দাদী সমিতিপাড়ায় একটি চায়ের দোকান চালাতেন। ঘটনার দিন চার কিশোর গ্যাং সদস্য প্রতিদিনের মতই চা খেয়ে বিল না দিয়ে চলে যায়। আলাউদ্দিনের দাদী ঘটনার প্রতিবাদ জানালে তাকে অশ্লীল গালাগাল ও হুমকি দেওয়া হয়। দোকানে উপস্থিত বৃদ্ধার নাতি আলাউদ্দিন ঘটনার প্রতিবাদ জানালে তাকে নির্মমভাবে মারধর করে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
কঙবাজার সদর থানার ওসি রাকিবুজ্জামান বলেন, কিশোর আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় ইতোমধ্যে দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামীদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সেসাথে শহর ও শহরতলীর অন্যান্য এলাকার কিশোর গ্যাং এর উৎপাত বন্ধেও সতর্ক রয়েছে পুলিশ। এখন নতুন করে এ বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি পর্যটন এলাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশও এ বিষয়ে সক্রিয় রয়েছে।