কক্সবাজারে ‘দলবদ্ধ ধর্ষণ’ মামলায় তিনজন গ্রেপ্তার

১০টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

কক্সবাজার প্রতিনিধি | সোমবার , ২৮ মার্চ, ২০২২ at ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের আদালত এলাকা থেকে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে ‘দলবদ্ধ ধর্ষণ’ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৫ এর একটি দল। ২৫ মার্চ দিবাগত গভীর রাতে ঈদগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে তাদের স্বীকারোক্তি মতে একটি পিস্তল ও ৯টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার।
গ্রেপ্তার আসামিরা হল, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালীর রমজান আলী মেম্বারের ছেলে ফিরোজ আহমদ, তার নিকটাত্মীয় একই এলাকার দোলা মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম এবং পাশ্ববর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের গণি সওদাগরের ছেলে মো. শরীফ।
১৪ মার্চ বিকেলে ঈদগাঁওয়ের এক তরুণীকে কক্সবাজার শহরের আদালত এলাকা হতে অপহরণের পর বাহারছড়ায় নিয়ে গিয়ে ‘দলবদ্ধ ধর্ষণ’ চালানোর অভিযোগে পরদিন ১৫ মার্চ কক্সবাজার সদর থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ওই তরুণীর দায়ের করা মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। নামোল্লেখ থাকা তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মামলার অপর প্রত্যক্ষ আসামি রাসেল উদ্দিন পলাতক রয়েছে।
শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খাইরুল ইসলাম সরকার বলেন, গত ১৪ মার্চ কক্সবাজার আদালত পাড়া থেকে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে কতিপয় দুর্বৃত্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলাও রেকর্ড করে। পরে সোর্স ও প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত এবং অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তলসহ আরো ৯টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার তদন্ত চলাকালে এ মামলার আসামি শরীফ প্রকাশ শরীফ কোম্পানি, ফিরোজ ওরফে মোস্তাকদের চাঞ্চল্যকর নানা তথ্যের কথাও জানান।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও মামলা রুজু করা হয়েছে। আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারীর একজনসহ তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত
পরবর্তী নিবন্ধওয়াসার সংযোগ ছিঁড়ে রাস্তায় হাঁটু পানি