কক্সবাজারে তিন মাদক কারবারির সম্পদ জব্দ করেছে দুদক

| মঙ্গলবার , ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের তিনজন মাদক কারবারির সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরা হলেনমাহমুদুল করিম খোকা, মো. সিদ্দিক ও মোহাম্মদ আলী। গতকাল সোমবার তাদের সম্পদ জব্দ করে দুদক।

দুদক কঙবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সুবেল আহমেদ জানান, কঙবাজারের সিনিয়র স্পেশাল জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদেশ পেয়ে ওই তিনজন মাদক কারবারির সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই সম্পদ দেখভালের জন্য রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আদালত দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার ওই আদেশ দিয়েছেন।

সূত্র জানায়, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার লম্বাঘোনা এলাকার মৃত ফকির আহমেদের ছেলে মাহমুদুল করিম খোকার ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। ওই সম্পত্তি তিনি বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করেছেন। তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে কঙবাজার শহরের ঝিলংজা মৌজায় ৫ দশমিক ৬ শতক নাল জমি এবং অস্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে মিনিবাস ও মাইক্রোবাস। এই সম্পদ ক্রোক করার পর কঙবাজার সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি), কঙবাজার সদর সাব রেজিস্ট্রার ও কঙবাজার বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালককে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। খবর বাসসের।

অন্যদিকে টেকনাফের মৌলভীপাড়ার মৃত হাজী কালা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলীর ১ কোটি ৩৩ লাখ ৬৭ হাজার ২১০ টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। ওই সম্পত্তি তিনি বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করেছেন। এই সম্পদের মধ্যে রয়েছেটেকনাফ মৌজার ২৬ দশমিক ৬৭ শতক জমি, ওই জমিতে ২০১৭ সালে সেমিপাকা স্থাপনা নির্মাণ, একই মৌজার ৬০ শতক জমি, ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর কেনা ২০ শতক জমি ও ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল কেনা এক একর ২০ শতক জমি। এই জমি ক্রোক করার পর টেকনাফের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও টেকনাফের সাবরেজিস্ট্রারকে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে।

অপরদিকে টেকনাফের বড় হাবিরপাড়ার মৃত আমির আলীর ছেলে মো. সিদ্দিকের ৯৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। ওই সম্পত্তি তিনি বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করেছেন। এই সম্পদের মধ্যে রয়েছে২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল কেনা টেকনাফ মৌজার এক একর ৬১ শতক নাল জমি, একই মৌজায় ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর কেনা দুই একর ১০ শতক নাল জমি ও ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর কেনা ২৯ দশমিক ৫০ শতক খিলা ও ভিটা জমি। এই জমি ক্রোক করার পর টেকনাফের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও টেকনাফের সাবরেজিস্ট্রারকে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগ্রেপ্তার ৮ আসামি ৭ দিনের রিমান্ডে
পরবর্তী নিবন্ধনগর বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু