কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ডিমওয়ালা ইলিশ। গতকাল শনিবার ধরা পড়া ইলিশের মধ্যেও ৭০% থেকে ৮০% পর্যন্ত ডিমওয়ালা মাছ বলে জানান স্থানীয় জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। যারমধ্যে আবার ৭ মেট্রিক টনের মতো ইলিশ শনিবার রাতে কক্সবাজার থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। তবে প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা শুরুর পক্ষকাল আগেই এভাবে ইলিশ ধরা পড়ার ঘটনাকে স্বাভাবিক বলে মনে করেন মৎস্য বিজ্ঞানীরা।
শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ফিশারীঘাটের ব্যবসায়ীরা জানান, গত ৩দিন ধরেই সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। এ কেন্দ্রে এখন দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ মেট্রিক টন ইলিশ আসছে। যারমধ্যে ৭০% থেকে ৮০% পর্যন্ত ডিমওয়ালা মাছ বলে জানান স্থানীয় জেলে কবির আহমদ ও মৎস্য ব্যবসায়ী আবুল কালাম।
কঙবাজারস্থ বাংলাদেশ ফিশারিজ রিচার্স ইন্সটিটিউটের সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমানও জেলেদের বক্তব্যের সাথে একমত পোষন করেন এবং এটাকে একটি ’স্বাভাবিক’ ঘটনা বলে মনে করেন। তবে কক্সবাজার শহরের ফিশারীঘাটস্থ বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ম্যানেজার এহছানুল হকের মতে এখন ধরা পড়া ইলিশের মধ্যে মাত্র ৩০% থেকে ৪০% ডিমওয়ালা মাছ।
ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা পড়া সম্পর্কে ড. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন নদী মোহনায় প্রায় সারাবছরই ডিম দিয়ে থাকে ইলিশ। তবে সবচেয়ে বেশি ডিমওয়ালা ইলিশ যেসময়ে পাওয়া যায়, সেই গড় সময়কেই বিজ্ঞানীরা নিষেধাজ্ঞার জন্য বেছে নিয়েছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এখন ৭৫০ গ্রাম থেকে ১২৫০ গ্রাম ওজনের ডিমওয়ালা ইলিশ দেখা যাচ্ছে। জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ ইলিশের প্রজনন মৌসুম শুরুর পক্ষকাল আগেই ব্যাপকভাবে ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা পড়ার বিষয়টি বৃষ্টি ও পূর্ণিমার প্রভাবের উপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার আগে বঙ্গোপসাগরে শেষ মুহূর্তে ইলিশ ধরার জন্য কঙবাজারের ৭ হাজার বোটের প্রায় ১ লাখ জেলে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।