কক্সবাজারে জাল দিয়ে শুধু চিংড়ি পোনা আহরণ বন্ধে দৃষ্টি দেওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

দিলেন কাঁটা এড়িয়ে মাছ খাওয়ার রেসিপিও

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ২৫ জুলাই, ২০২২ at ৪:৪০ পূর্বাহ্ণ

নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা মেটাতে মাছের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে মৎস্য উৎপাদন জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবাইকে নিজ নিজ এলাকার জলাধারে মাছ চাষের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি। গতকাল সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২’ এর উদ্বোধন এবং ‘জাতীয় মৎস্য পদক-২০২২’ বিতরণ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এ বিষয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগেই লেকে আবার মাছ ছেড়ে এলাম। আশা করি এভাবে সবাই, যার যার জলাধার আছে, যার যেখানে একটু জলাধার আছে, সেখানে আপনারা মাছের চাষ করেন। খবর বিডিনিউজের।
কক্সবাজার, কুয়াকাটাসহ সমুদ্র এলাকায় জাল দিয়ে শুধু চিংড়ির পোনা আহরণ বন্ধে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেসব জায়গায় হ্যাচারি তৈরি করে দিতে হবে। পাশাপাশি চিংড়ির পোনার স্বাস্থ্যসম্মত উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমাদের নতুন প্রজন্ম তারা আরও এগিয়ে আসবে। তাদের কর্মসংস্থান যেমন হবে, দেশে বেকারত্ব দূর হবে, আর সেই সাথে সাথে দেশও রপ্তানিযোগ্য পণ্য পাবে, আর দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাও মিটবে। কাঁটা এড়িয়ে মাছ খাওয়ার রেসিপিও দিয়েছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
হাওর অঞ্চলে মৎস্য উৎপাদনের বিশাল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু হাওর না, হাওর, বাওর, খাল, বিল, বিভিন্ন জলাধার এত জায়গা আমাদের। আমার তো মনে হয় যার যেখানে এই ধরনের জলাধার আছে তারা যদি এই মৎস্য উৎপাদন করার দিকে একটু নজর দেন… শুধু মাছও না, মাছের সাথে কাঁকড়া, শামুক আছে, ঝিনুক আছে, সবকিছুই করা যায়। কাজেই সেগুলো করতে পারলে আমাদের নিজেদের কোনো অভাব থাকবে না। রপ্তানি ক্ষেত্রে আমরা নতুন নতুন পণ্য দিতে পারব।
জনগণের পুষ্টি নিশ্চিতে সরকার যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর ‘বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছে’, সে কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, পুষ্টিটা আসবে মাছ, ডিম, দুধ ও মাংসের মাধ্যমে। শুধু আমরা নিজেদের চাহিদা মেটাব না, আমরা এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশেও পাঠাতে পারব।
‘মাছে ভাতে বাঙালি’র পরিচয়কে গুরুত্ব দেওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। এই মাছে ভাতে বাঙালি হিসেবেই যেন আমরা থাকতে পারি। মাছে কাঁটার কারণে অনেকে মাছ খেতে ‘চায়’ না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু প্রক্রিয়াজাত করলে কিন্তু এই কাঁটাও নরম করে ফেলা যায় এবং খাওয়া যায়। সেটা কঠিন না, এমনকি ঘরে ঘরেও করতে পারেন।
এরপর কাঁটা নরম করার কৌশল শিখিয়ে দেন তিনি। আপনারা যদি প্রেশার কুকারে মাছ ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট সিদ্ধ করেন, মাছের কাঁটা কিন্তু নরম হয়ে যায়। মাছ মাছের মতোই থাকবে, কিন্তু কাঁটা নরম হয়ে যাবে। আপনারা সেটা বাচ্চাদেরও খাওয়াতে পারবেন। এতে কোনো অসুবিধা হয় না। আমরা কিন্তু এটা করি। তা জানানোর সঙ্গে বলেন, একটু রেসিপিও দিয়ে দিলাম সাথে। নরম কাঁটাযুক্ত মাছের এবং মাছজাত পণ্যের বিদেশের বাজার ধরতে পরিকল্পনা এবং করণীয়ও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারের সমালোচকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা নাই নাই, গেল গেল, হায় হায় করে বেড়াচ্ছে এই হায় হায় পার্টি হায় হায় করতেই থাকুক। মাঝে মাঝে তো তাদের একটু বলতে দিতেই হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশাকিবের বিয়েতে আনন্দ করতে চান অপু বিশ্বাস
পরবর্তী নিবন্ধনতুন চমক নিয়ে আসছেন তাহসান