কক্সবাজার শহরের কলাতলী মোড়ে সৌদি আরবের এক নাগরিককে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। গত শনিবার রাতে শহরে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বিকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় ট্যুরিস্ট পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হল শহরের ঝাউতলা এলাকার আবুল ফয়েজের ছেলে মেহেদী হাসান বাবু (১৬), মো. ইউসুফের ছেলে আবির হোসেন সান (২৩), মনির হোসেনের ছেলে মো. আবির (১৯) ও সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোসাইদুল ইসলাম সামাদ (১৮)।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কঙবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় শহরের কলাতলীর হোটেল ওশান প্যারাডাইস সংলগ্ন সড়কে মোটরসাইকেল যোগে ৬ জন ছিনতাইকারী এসে সৌদি আরবের নাগরিক হুদাইবি খালিদ মোহাম্মদ এবং তার সঙ্গী সৌদি প্রবাসী মো. রাকিব শেখের গতি রোধ করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা হুদাইবি খালিদ মোহাম্মদকে ছুরিকাঘাত করে তার মোবাইল ফোন এবং নগদ পাঁচশত সৌদি মুদ্রা রিয়াল, বাংলাদেশি সাড়ে ৩ হাজার টাকা, এনআইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ মানিব্যাগটি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আহত সৌদি নাগরিককে প্রথমে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় মো. রাকিব শেখ বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আপেল মাহমুদ জানান, মামলাটি তদন্তকার্য ট্যুরিস্ট পুলিশকে দেয়ার পর প্রযুক্তির সহায়তায় ও নানা কৌশলে এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়। এরপর শনিবার রাতে বিভিন্ন স্থানে ৮ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় জড়িত অপর ২ জনকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। তিনি জানান, গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান বাবু ইতোমধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। অপর ৩ জনকেও আদালতে প্রেরণ করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, কক্সবাজার শহরে ছিনতাইয়ে জড়িত ৭/৮টি গ্রুপকে ইতোমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। আমরা কক্সবাজার থেকে এসব গ্রুপকে নির্মূল করতে চাই। যাদের ধরতে এখন অভিযান চলছে। একই সঙ্গে ছিনতাইয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি স্পটও চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে ট্যুরিস্ট পুলিশের নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।