কক্সবাজারে করোনার টিকা দান শুরু ৭ ফেব্রুয়ারি

প্রস্তুত ৮৪ হাজার ডোজ, পাবেন ৪২ হাজার মানুষ

কক্সবাজার প্রতিনিধি | বুধবার , ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ১১:০৬ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারে করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু হচ্ছে আগামী রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি)।
ইতোমধ্যে ৪২ হাজার মানুষের জন্য ৮৪ হাজার টিকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলার করোনাভাইরাসের টিকাদানের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল, কক্সবাজার সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ৩টি টিকাদান কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। তবে প্রথম দিন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে টিকাদান কর্মীদের ভ্যাকসিন দিয়েই এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভ্যাকসিন পেতে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
নিবন্ধনের সুযোগ রয়েছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত।
গত ৩১ জানুয়ারি ৮৪ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন কক্সবাজারে আনা হয়েছে।
বেক্সিমকো ফার্মার একটি কাভার্ড ফ্রিজার ভ্যানে করে এসব ভ্যাকসিন আনার পর কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআই স্টোরে নির্ধারিত তাপমাত্রায় রাখা হয়েছে।
এসব করোনা ভ্যাকসিনের নিরাপত্তার জন্য সেখানে পুলিশও মোতায়েন রাখা হয়েছে।
কক্সবাজারে আনা করোনার ভ্যাকসিনগুলো ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার “কোভিশিল্ড” টিকা বলে জানায় সূত্রটি। তবে করোনা টিকার জন্য কক্সবাজার জেলায় এ পর্যন্ত কতজন রেজিস্ট্রেশন করেছেন তা জানা যায়নি।
সূত্রটি জানায়, ৮ হাজার ৪০০টি ভায়ালে ৮৪ হাজার ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা রয়েছে। প্রতিটি ভায়ালে টিকা রয়েছে ১০ ডোজ করে। প্রতি কার্টনে এক হাজার ২০০ ভায়াল টিকা রয়েছে। একজন নাগরিককে ২ ডোজ করে করোনাভাইরাসের এই টিকা নিতে হয়। সেই হিসাবে কক্সবাজারের ৪২ হাজার নাগরিককে করোনাভাইরাসের এই টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। এক ডোজ টিকা দেওয়ার ৮ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে হবে।
মানবদেহে করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ সম্পর্কে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সহ প্রতি উপজেলা থেকে ৫ জনকে ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা জেলার টেকনেশিয়ান, নার্স, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, পরিবার পরিকল্পনা ভিজিটরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমে যাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তাদের শরীরে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রে নানা দিক বিশ্লেষণসহ হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান সহকারী সিভিল সার্জন ডা. মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রবর্তক মোড়ে পকেটমার ধরে লাখ টাকা উদ্ধার করল ট্রাফিক পুলিশ
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা