কক্সবাজারে করোনার টিকাদান কার্যক্রম আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। প্রথম দিন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে টিকাদান কর্মীদের ভ্যাকসিন দেয়ার মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। এরপর আগামীকাল থেকে জেলার বাকি ৭টি উপজেলা ও রামু ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শুরু হবে টিকাদান কার্যক্রম। ইতোমধ্যে টিকাদান কার্যক্রমের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান।
তিনি জানান, গতকাল ৭টি উপজেলার জনসংখ্যা অনুপাতে ভ্যাকসিন প্রেরণ করা হয়েছে। তবে ভ্যাকসিন পেতে এ পর্যন্ত কতজন রেজিস্ট্রেশন করেছেন-তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে কক্সবাজারের ৪২ হাজার মানুষের জন্য ৮৪ হাজার টিকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এক ডোজ টিকা দেওয়ার ৮ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে হবে। গত ৩১ জানুয়ারি ভ্যাকসিন আনার পর তা কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআই স্টোরে নির্ধারিত তাপমাত্রায় রাখা হয়। কক্সবাজার জেলায় করোনার টিকাদানের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল, কঙবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় ও কঙবাজার মেডিকেল কলেজে ৩টি টিকাদান কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ কেন্দ্র ছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়নে টিকাদান টিম কাজ করবে।
সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ ক্যাটাগরির নাগরিককে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা টিকা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে এসব ক্যাটাগরির প্রায় ৩৯ হাজার মানুষের তালিকা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সহকারী সিভিল সার্জন ডা. মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর।