আব্দুর রশিদ বদ্দারের ট্রলার মায়ের দোয়া। তিনদিন আগে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে মাছ ধরতে গিয়েছিলো সাগরে। এই ট্রলারে ১২ মন টুনা মাছের ঝাঁক ধরা পড়েছে। মাছগুলো দুইটি নৌকায় করে ট্রলার থেকে নামানো হয়েছে। তারপর পাইকারি দামে বিক্রি করে দেন মালিক।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ট্রলার ভর্তি মাছ নিয়ে ফেরেন ফিশিং ট্রলার মায়ের দোয়া।
মায়ের দোয়া ট্রলারের মালিক আব্দুর রশিদ বদ্দার জানান, ১২ মন টুনা মাছ পাইকারি দামে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। ইলিশ এবং অন্যান্য মাছও ধরা পড়েছে। এবার খুবই লাভবান হয়েছি। সব আল্লাহর রহমত। বৈরী আবহাওয়া না থাকলে আরও মাছ ধরা যেতো।
মাছগুলো কিনেছেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলম। তিনি বলেন, টুনা মাছ এখনো তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে দামও একটু বেশি। একটা ট্রলারে ১২ মনের মতো টুনা ধরা পড়েছে শুনে এসে পাইকারি কিনে নিলাম। আমি আবার খুচরা বিক্রেতাদের বিক্রি করে দিবো।
সরেজমিনে দেখা যায়, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ট্রলার থেকে মাছ নামিয়ে স্তূপ করার পর দরদাম চলছে। যিনি বেশি দাম হাঁকছেন তার কাছেই মাছ বিক্রি করছেন ট্রলারমালিকরা। এরপর মাছগুলো বরফে ঢেকে বিশেষ কায়দায় সংরক্ষণ ও ঝুড়ি ভর্তি করে পরিবহনে তোলা হচ্ছে। এরপর তা চলে যাচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বৈরী আবহাওয়া পরিস্থিতি থাকায় কয়েকদিন মাছ ধরতে যেতে পারেনি জেলেরা। একারণে ফিশারীঘাটে মাছের সংখ্যা কম। ফলে দাম একটু বেশি।