টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকার তসলিমা কাউসার একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এদের মধ্যে দুইটি ছেলে ও একটি মেয়ে। মা ও সন্তানেরা সুস্থ আছেন। রবিবার দুপুরে চকরিয়ার খ্রীষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে জন্ম হয় তিন সন্তানের।
তসলিমা কাউসারের স্বামী গিয়াস উদ্দিন জানান, ২০১৬ সালে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার এলাকার নুরুল আমিনের মেয়ে তসলিমা কাউসারকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন তিনি। প্রথম সন্তান ওয়াজিহা জাহান আদিরা (৫) জন্মগ্রহণ হওয়ার পর মেরিন ড্রাইভ সড়কে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে অনেক বছর কষ্ট পেয়েছেন তসলিমা। এরপর স্ত্রীর নানান ধরণের গাইনি সমস্যা দেখা দেয়ায় বাচ্চা না হওয়ায় ঢাকার ধানমন্ডি মা ও শিশু হাসপাতালের গাইনি অ্যান্ড অবস্ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হাবিবুর রহমানের পরামর্শ গ্রহণ করেন। এরপর ডাক্তারের চিকিৎসায় তসলিমা আবারো অন্তঃসত্ত্বা হন।
চিকিৎসক হাবিবুর রহমানের পরামর্শে তিন মাস পর আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জানা যায় তসলিমার গর্ভে তিনটি সন্তান। এরপর কক্সবাজারের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. খাইরুন্নেছা মুন্নি ও ডা. ফাতেমা জান্নাত থেকে নিয়মিত চিকিৎসা করেন। তাদের পরামর্শে প্রতি ১৫/২০ দিন পর পর আলট্রা করান ডা. রাহাত নুর তুলি ও ডা. নাহিদা থেকে। রবিবার রাতে সিজারের মাধ্যমে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
সিজান করা খ্রীষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালের ডা. কেলি বলেন, রবিবার রাতে তসলিমা কাউসারের সিজার করেছি। তার অবস্থা দেখে নিয়মিত পরীক্ষা করেছি। রোগির কন্ডিশন স্বাভাবিক ছিল রবিবার রাত ৮ টায় সিজারে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দেন তসলিমা কাউসার। বর্তমানে রোগী (মা) এবং তিন সন্তান ভালো আছেন।
তসলিমা-গিয়াস দম্পতি আরো জানান, একসাথে তিন সন্তান জন্মগ্রহণ এটা আল্লাহর রহমত। তারা আল্লাহ তায়ালার শোকরিয়া আদায় করেন। তাদের সুস্থতায় সকলের দোয়া কামনা করেছেন।