কক্সবাজারের শহরের বাস টার্মিনাল সংলগ্ন পশ্চিম লারপাড়ায় অভিযান চালিয়েছে সদর উপজেলা প্রশাসন। বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরিচালিত এই অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৫ একরের বিশাল পাহাড়। এ সময় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাহাড় কেটে নির্মিত অসংখ্য অবৈধ বসতি। গতকাল বুধবার বিকেলে এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক মাহবুবুল আলম, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা, পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপল’র প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান চলাকালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মদ জাকারিয়া পাহাড় কাটা, গাছ কাটা এবং সরকারি পাহাড় বিক্রির সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের তালিকা তৈরি করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
এনভায়রনমেন্ট পিপল’র প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ জানান, গত এক মাস ধরে প্রায় ১০০ ফুট উচ্চতার প্রায় ৫ একরের সরকারি পাহাড় কেটে জায়গা বিক্রি ও গর্জনসহ ৩ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছিল। সরকারি পাহাড় কেটে ইতোমধ্যে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বাস টার্মিনাল সংলগ্ন নাপাঞ্জাপাড়া এলাকার একটি চক্র। বিষয়টি গতকাল সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও গণমাধ্যমের নজরে আনে পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপল।
অভিযান প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, যেভাবে পাহাড় ও গাছ কাটা হয়েছে তা ভয়াবহ। অভিযানে পাহাড় কেটে নির্মাণাধীন কয়েকটি অবৈধ বসতি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেখানে আবারও অভিযান চালানো হবে। এছাড়া জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।