কক্সবাজারের ইতিহাস ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ প্রাচীন নিদর্শনগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একটি জরিপ দল গত বৃহস্পতিবার শহরের বিজিবি ক্যাম্পস্থ ঐতিহাসিক শাহ সুজা জামে মসজিদ এবং চকরিয়ার মানিকপুর ফজল কিউক জামে মসজিদ ও জমিদারবাড়ি পরিদর্শন শেষে গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানান। প্রাক জরিপ পর্যবেক্ষণ ও ক্যাম্প সেট-আপের পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণের তিন সদস্য বিশিষ্ট জরিপ দলের কক্সবাজার আগমনের উদ্দেশ্য বলে জানান জরিপ দল প্রধান ড. মো. আতাউর রহমান। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের জরিপ দলে আরো ছিলেন ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান হাসিবুল হাসান সুমি ও আঞ্চলিক দপ্তরের গবেষণা সহকারী মো. ওমর ফারুক।
গতকাল শুক্রবার সকালে জরিপ দল প্রধান ড. মো. আতাউর রহমান বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের বিজিবি ক্যাম্প এলাকার শাহ সুজা মসজিদ এবং চকরিয়ার মানিকপুর-সুরাজপুর ইউনিয়নের ফজল কিউকের মসজিদ ও একটি ব্রিটিশ আমলের মুসলিম জমিদার বাড়ি পরিদর্শন করেছি। এখন আমরা কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রয়েছি। আগামী ১৪ নভেম্বর আবারো কক্সবাজারে আসব।
কক্সবাজার আর্ট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শিল্পী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী ও সেভ দ্য হেরিটেজ সদস্য স্থপতি মামুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, ঐতিহাসিক এই মসজিদ ও স্থাপনাগুলো একদিকে কক্সবাজার তথা এ অঞ্চলের মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের অনন্য নিদর্শন-যা এ অঞ্চলের প্রাচীন বাঙালি মুসলমানদের আত্মপরিচয়ের স্বরূপ চিহ্নিত করে। আর অন্যদিকে পর্যটন শিল্প বিকাশেও স্থাপনাগুলো বিশাল ভূমিকা রাখবে।