কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন কারাগারে

২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলা

কক্সবাজার প্রতিনিধি | সোমবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার বাদীর স্বাক্ষর ও নথি জালিয়াতির পৃথক মামলায় জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কক্সবাজারের বিশেষ জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ এই আদেশ দেন। আদেশের পর বিকালে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দুদকের আইনজীবী সিরাজ উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিপূরণের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের একটি মামলার প্রধান আসামি ছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন। এই মামলায় ২০১৭ সালের ২২ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠায়। দীর্ঘ কারাভোগ শেষে জামিনে মুক্তি পান তিনি।

কারাগার থেকে বের হয়ে ওই আত্মসাতের মামলা থেকে বাদ যেতে ষড়যন্ত্র শুরু করেন অভিযুক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন। এরই অংশ হিসেবে তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারের সাথে যোগসাজশ করে মামলার বাদী কায়সারুল ইসলাম চৌধুরীর স্বাক্ষর এবং নথি জাল করে নিজেদের নাম কেটে চার্জশিট তৈরির চেষ্টা করেন রুহুল আমিন।

এই জালিয়াতির ঘটনা ফাঁস হলে সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সাদিকুল ইসলাম তালুকদার, আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন বাদি কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী। এই মামলায় গত ২৩ জানুয়ারি পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ।

দুদকের আইনজীবী সিরাজ উল্লাহ বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর গতকাল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন। কিন্তু আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে অন্য আসামিরা কেউ জামিন আবেদন করেননি বলে জানান দুদকের আইনজীবী মো. সিরাজ উল্লাহ। মামলাটি বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাড়ে চার ঘণ্টা পর যেভাবে উদ্ধার হয়েছিল শিশু আয়াত
পরবর্তী নিবন্ধ২৯ পদের সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত