কক্সবাজারের সঙ্গে রেল যোগাযোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে দুটি প্রকল্প : প্রধানমন্ত্রী

দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসুন, অনির্বাচিত সরকার আর হবে না

| শুক্রবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ১০:১১ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মাসেতু দিয়ে ঢাকা থেকে যশোরের রূপদিয়া ও সিঙ্গিয়া পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য দুটি অগ্রাধিকার প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হচ্ছে।

যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু, খুলনামংলা ব্রডগেজ রেললাইন, আখাউড়ালাকসাম ডুয়েলগেজ ডাবললাইন নির্মাণ, ঢাকাটঙ্গী ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গীজয়দেবপুর ডুয়েলগেজ ডাবললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ রেলওয়ের ৩টি প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত ৬৯ দশমিক ২০ কিলোমিটার রেলপথে রূপপুর (ঈশ্বরদী), শশীদল (কুমিল্লা) এবং জয়দেবপুর (গাজীপুর) স্টেশন থেকে যুগপৎভাবে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রূপপুর, শশীদল ও জয়দেবপুরে একযোগে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা মেট্রোরেল উদ্বোধন করেছিযেটা পরবর্তীতে উত্তরা থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে।

মেট্রোরেলের ক্ষেত্রে আমরা পাতালেও যাচ্ছি। ইতোমধ্যে এমআরটি লাইন১ এর অধীনে পাতাল রেলের নির্মাণ কাজেরও শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেল খাতে সকল প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশীয় এবং আন্তঃদেশীয় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় নবদিগন্তের সূচনা হবে এবং রেল পরিষেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে।

রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রেলপথ সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির স্বাগত বক্তব্য রাখেন। আরো বক্তব্য রাখেন ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ। অনুষ্ঠানে রেলের তিনটি প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।

এদিকে গতকাল রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দয়া করে অনির্বাচিত সরকারের দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসুন, এটা আর জীবনেও হবে না। তিনি বলেন, অনির্বাচিত সরকারের স্বপ্ন যারা দেখছেন সে দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসবেন দয়া করে।

এটা আর জীবনে হবে না। আর ক্ষমতায় যাবার ইচ্ছে যাদের, আসেন নির্বাচন করেন। জনগণ যাদের মেনে নেবে তারাই ক্ষমতা যাবে। এখানে আওয়ামী লীগ কোনো দিন হস্তক্ষেপ করবে না, করেও না।

তিনি বলেন, অনির্বাচিত সরকার তো আমরা দেখেছি, একবার না বারবার; আমরাই আন্দোলন করে কেয়ারটেকার এনেছিলাম। তার ফলাফলটা কি দাঁড়িয়েছিল সেটাও আমরা দেখেছি। শেখ হাসিনা বলেন, কিছু কিছু লোক বলে যাচ্ছেন যে, দুই তিন বছর অনির্বাচিত সরকার থাকলে, ক্ষতিটা কি? এতে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে? এটা কোন ধরনের কথা।

আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার আসবে, যার জন্য আমাদের এত সংগ্রাম, এত আত্মত্যাগ, এত জেলজুলুম অত্যাচার পর্যন্ত সহ্য করেছি। সেই গণতন্ত্র যখন ফিরিয়ে এনেছি, অব্যাহতভাবে গণতন্ত্র আছে বলেই আজকে দেশের উন্নতিটা মানুষের কাছে দৃশ্যমান।

তিনি আরও বলেন, যারা বলে অনির্বাচিত সরকার থাকলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন মহাভারত হয়তো তাদের কাছে অশুদ্ধ হবে না, কিন্তু আমাদের সংবিধান? যে সংবিধান জনগণের অধিকার সুরক্ষিত করেছেন সেই সংবিধানকে বাদ দিয়ে অনির্বাচিত সরকার যারা আনতে চান তারা কি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন? তারা কি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন? তারা কি জনগণের অধিকারে বিশ্বাস করেন?

সাম্প্রতিক ছয়টি উপনির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছয়টি উপনির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলেও নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করার সক্ষমতা রাখে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবছরে সাড়ে ৩শ কোটি টাকার ইয়াবা ঢুকছে ২২ রুটে
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা