কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানা যাত্রা শুরু হয়েছে। এটি দেশের ৬৫১তম পুলিশি থানা। গতকাল বুধবার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের তেতুলতলীস্থ ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ভবনে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে ঈদগাঁও থানা উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি।
কক্সবাজার সদর উপজেলার পাহাড় ও উপকূল বেষ্টিত ৫ ইউনিয়ন নিয়ে ঈদগাঁওকে আলাদা থানা ঘোষণা করা হয়েছে। ইউনিয়নসমূহ হল পোকখালী, ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ ও ঈদগাঁও। বর্তমানে এ পাঁচ ইউনিয়নে দেড় লাখ মানুষের বসবাস রয়েছে। এটি কক্সবাজার জেলার নবম থানা।
এ নতুন থানা উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের সকল মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। আমাদের লক্ষ্য যেকোন মূল্যে মাদকের থাবা রোধ করা। কক্সবাজারের নতুন ঈদগাঁও থানা মাদক ও সন্ত্রাস রোধে অগ্রণী ভূমিকা রেখে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদার করবে বলে আশা রাখছি।
সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের দিক দিয়ে বৃহত্তর ঈদগাঁও বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে প্রাচীনকাল থেকে সমাদৃত। দিনদিন এর প্রসার বেড়েছে। ঈদগাঁওর পূর্ব পাশে পাহাড় আর পশ্চিমে উপকূলীয় লবণ মাঠ ও চিংড়ি ঘের। উত্তর-দক্ষিণে কৃষি ফসলের বিস্তৃত ভূমি। বিশাল এ এলাকার আইন শৃঙ্খলা জেলা শহর থেকে সদর থানা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ দুরূহ ছিল। অনেক সময় আইনী সহায়তা নিতে স্থানীয়দেরও সদরে যাওয়া নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। থানা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার-২ আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, সাংসদ কানিজ ফাতেমা আহমদ, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, কউক চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সদর উপজেলার ইউএনও সুরাইয়া আক্তার সুইটি প্রমুখ।
ঈদগাঁও থানার ওসি আবদুল হালিম জানান, প্রাথমিকভাবে একজন ওসি, ৫ এসআই, ৫ এএসআই, ২৪ কনস্টেবল, একজন রাধূনী ও একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী দিয়ে ঈদগাঁও থানার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বাকী জনবল পর্যায়ক্রমে পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঊর্ধতন মহল।