যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার ভারসাম্য কোন দলের দিকে হেলে পড়বে, তা ঠিক করতে মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোট দিতে শুরু করেছে নাগরিকরা। ভোটকেন্দ্রগুলো একে একে খুলছে। ভোটের নির্ধারিত দিন মঙ্গলবার হলেও এরই মধ্যে ৪ কোটি ৩৫ লাখের বেশি মার্কিনি আগাম ভোট দিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউএস ইলেকশনস প্রজেক্ট। কিছু কিছু রাজ্য নির্বাচনের দিনও ব্যালট পোস্ট করার সুযোগ রাখায় এবং পুনর্গণনার বিধান থাকায়, দুই পক্ষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলে ভোটের ফল জানতে কয়েকদিন এমনকী কয়েক সপ্তাহও লেগে যেতে পারে। খবর বিডিনিউজের।
অ্যারিজোনা, কলোরাডো,মন্টানা, নেব্রাস্কা, নিউ মেঙিকো, উটাহ, উইয়োমিং সবখানেই ভোট শুরু হয়েছে। মন্টানা, নেব্রাস্কা, উটাহ ও উইয়োমিংয়ে বেশিরভাগ ভোটারই ২০২০ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিল-তবে এখন কংগ্রেসের জন্য নির্বাচনে তারা কীভাবে ভোট দেয় সেটিই দেখার বিষয়। মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সব ও উচ্চকক্ষ সেনেটের এক তৃতীয়াংশ আসনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ একাধিক রাজ্যের গভর্নর পদের ভাগ্য নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প ভোটারদের মন জয়ে আলাদা আলাদা সমাবেশে নিজ নিজ দল ও পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে যুক্তিতর্ক হাজির করেছেন। বেশিরভাগ জনমত জরিপের হিসাবে এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরাই নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পেতে যাচ্ছে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে, তেমনটা হলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদের বাকি দুই বছর ডেমোক্র্যাটদের চাহিদা অনুযায়ী আইন পাসে বাইডেনকে বেশ বেগ পেতে হবে।
ডেমোক্র্যাটরা এখন হোয়াইট হাউসের পাশাপাশি খুব সামান্য ব্যবধানে হলেও কংগ্রেসের উভয় কক্ষেরই নিয়ন্ত্রক। প্রেসিডেন্টের মেয়াদের মাঝপথে হওয়া এই মধ্যবর্তী নির্বাচনে সাধারণত ক্ষমতাসীন দলগুলো গড়ে দুই ডজন বা এর কিছু বেশি আসন বিরোধীদের কাছে হারায়। মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সাধারণত মার্কিন প্রেসিডেন্টের নেতৃত্ব বিষয়ক গণভোট হিসেবে দেখা হয়, তাই এটি বাইডেনের জনপ্রিয়তার একটি পরীক্ষা।












